Chopra

চা বাগানের জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, চোপড়ায় ছড়রা গুলিতে জখম অন্তত ১২ জন

‘মাফিয়া’দের ছড়রা গুলিতে অন্তত ১২ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে চোপড়ার দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চোপড়া ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৫৫

—নিজস্ব চিত্র।

জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ছড়রা গুলি চলল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। অভিযোগ, চা বাগানের জমি দখল নিয়ে ‘মাফিয়া’দের ছড়রা গুলিতে অন্তত ১২ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে চোপড়ার দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, চোপড়ার আমবাড়ি এলাকায় পিয়ারিলাল চা বাগানের মালিক বছর খানেক আগে তাঁর বাগান বিক্রি করে চলে যান। সেই বাগানের প্রায় ৬২ একর সরকারি জমি। স্থানীয় আদিবাসীদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমি তাঁদের পূর্বপুরুষদের দখলে ছিল। পিয়ারিলাল টি-এস্টেটের মালিকেরা এসে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সেই জমি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়েই সেই জমি বিক্রি করে চলে যান। এ কথা জানাজানি হতেই আদিবাসীরা সেই জমির দখল নিতে চা বাগানে ফিরে এসে ঘরদোর বানিয়ে বসবাস করা শুরু করেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই আদিবাসী এবং ‘জমি মাফিয়া’দের গোলমাল চলছে। এক-দু’বার বোমাবাজি-গুলিও চলেছে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান বার হয়নি। প্রশাসনের তরফে পিয়ারিলাল চা বাগানে পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হয়েছিল গন্ডগোল রুখতে। সেখানেই আবার সংঘর্ষ জড়াল দু’পক্ষ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

আদিবাসী সুনীতা মুর্মু বলেন, ‘‘ঘরবাড়ি সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের জমিতে আমাদেরই থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ আদিবাসীদের অভিযোগ, বহু বার পুলিশকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের সামনেও ছড়রা গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। ছড়রা গুলিতে জখমদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে মুংলি টু়ডু নামে এক আদিবাসী বলেন, ‘‘আমাদের পুর্বপুরুষের জমি থেকে আমরা কেন উঠে যাব? কিন্তু সেই জমিই দখল করতে চাইছে মাফিয়ারা। আজ সকালে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন এসে বাড়ি ভাঙচুর করা শুরু করে। গুলি চালায়। অনেকেই সেই গুলিতে আহত হন। কোনও রকমে আমরা বেঁচে ফিরেছি। জখমদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। পুলিশকে বলেও কোন লাভ হয়নি। তারা কোনও পদক্ষেপই করছে না।’’

এই ঘটনার ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিংহের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement