—নিজস্ব চিত্র।
প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে মরসুমের প্রথম তুষারপাত দেখল সিকিম। কয়েক দিন গরমের পর দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। তার জেরে শিলিগুড়িতে শরতে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। ঠিক তখনই পর্যটকদের আকাঙ্ক্ষিত তুষারপাত হল সিকিমে। স্বাভাবিক ভাবে পর্যটকেরা খুশি। তবে ভারী বৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাংগুতে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এটাই এই মরসুমের প্রথম তুষারপাত। দুপুর নাগাদ একটু একটু করে তুষারপাত শুরু হয়েছিল। চলে বেশ খানিক ক্ষণ। শুক্রবার তুষারপাত হতে পারে বলে আগেই অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর সিকিম-সহ সংলগ্ন এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। তা ছাড়া আগামিকাল (শনিবার) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসতে পারে। তবে পাহাড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা থাকছে।’’
বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল সিকিম আবহাওয়া দফতর। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়।