দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর বধূর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য বালুরঘাটে

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৯

—প্রতীকী ছবি।

দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর এক বধূর পচা গলা দেহ উদ্ধার হল বাড়ির শৌচাগার থেকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে রেল স্টেশন সংলগ্ন গোবিন্দপুর এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার নাম মুক্তি দাস ঘোষ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর ওই বধূর স্বামী শঙ্করচন্দ্র ঘোষ বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁদের আখিরা পাড়ার বাড়ি থেকে সকাল ১০টা নাগাদ কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তি। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। তার পর বুধবার মুক্তির দেহ উদ্ধার হল। গোবিন্দপুরের যে বাড়ি থেকে বধূর দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই বাড়িতে শঙ্করের মা থাকতেন। মাঝে মাঝে মুক্তি গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতেন। বুধবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান। তার পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির লোহার গ্রিল দিয়ে তৈরি মূল গেটের তালা খোলা ছিল। কিন্তু যে শৌচাগার থেকে দেহ মিলেছে, সেটি ভিতর থেকে লাগানোই ছিল। কী কারণে বধূর মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিখোঁজ ডায়েরি করলেও কেন নিজের বাড়ি খুঁজে দেখলেন না শঙ্কর, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

এলাকার বাসিন্দা ভুট্টু সিংহ জানান, বিকেলে এলাকার মানুষজন পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বাথরুমের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেছে। কী কারণে মৃত্যু, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর কথায়, ‘‘এই বাড়িতে এক জন বয়স্ক মহিলা থাকেন। তিনিও বিগত কয়েক মাস এখানে আর থাকেন না। তিনিও অন্যত্র চলে গিয়েছেন। মাঝে মাঝে মুক্তি দাস ঘোষ বাড়ির দেখাশোনা করার জন্য আসতেন। কিন্তু তাঁর দেহ উদ্ধার হবে, এটা ভাবতে পারিনি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement