POCSO Case

খেলতে ডেকে যৌন হেনস্থা করেছে পাড়ার দাদারা! ১০ বছরের বালক আশঙ্কাজনক, নিউ জলপাইগুড়িতে ধৃত তিন

নির্যাতিত বালকের পরিবারের অভিযোগ, খেলার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে দাদার বয়সি তিন কিশোর। ছেলেটি ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সে কথা জানতে পারে পরিবার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১২
pocso

— প্রতীকী চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। পথে পথে প্রতিবাদ চলছে। তার মধ্যে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা নিউ জলপাইগুড়ি খানা এলাকায়। তিন প্রতিবেশীর কাছে নির্যাতিত হতে হল দশ বছরের এক নাবালককে। শনিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হইচই শুরু হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত তিন জনেই নাবালক। অন্য দিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালক।

Advertisement

নির্যাতিত বালকের পরিবারের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে খেলার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করত দাদার বয়সি তিন কিশোর। ছেলেটি ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সে কথা জানতে পারে তারা। তাদের দাবি, বাড়ির পাশে একটি পাঁচিল দেওয়া ফাঁকা জায়গায় খেলার নাম করে বছর দশকের বালকের উপর প্রায়শই যৌন নির্যাতন করত তিন জন। কখনও খাবারের লোভ দেখিয়ে, আবার কখনও ভয় দেখিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছিল নাবালককে। অসুস্থ হয়ে পড়া ওই বালককে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকেরা।

পাশাপাশি যৌন হয়রানি এবং হেনস্থার অভিযোগে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় তিন নাবালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। বালকের পরিবারের আরও অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পরে অভিযুক্ত তিন জনের পরিবারের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। নাবালকের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে যৌন নির্যাতন করেছে এলাকারই তিনটি ছেলে। আমরা বিষয়টি জানতে পারার পর তাদের পরিবারকে জানাতে গেলে উল্টে আমার ভাই ও বাবাকে মারধর করা হয়। আমরা বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সে কথায় গুরুত্ব দেয়নি। আমরা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তিন জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার রজু করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (জ়োন-১) দীপক সরকার বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করেছি। প্রত্যেকেই নাবালক। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement