Bengaluru Blast

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ড: কাঁথি থেকে দুই জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ

বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা এই রাজ্যে আত্মগোপন করে ছিলেন বলে এনআইএ সূ্ত্রে খবর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৯
NIA arrest two suspects of bengaluru cafe blast case from West Bengal

— ফাইল চিত্র।

বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজনকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা এই রাজ্যে আত্মগোপন করেছিলেন বলে এনআইএ সূ্ত্রে খবর। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানায়, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই চক্রীকে। এনআইএর সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দলও।

Advertisement

এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও আরও দুই অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এনআইএ তাঁদের খোঁজ পেতে আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছিল, দুই সন্দেহভাজনের বিষয়ে পুলিশকে হদিস দিতে পারলেই মিলবে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার।

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের ঘটনার পরে দুই সন্দেহভাজন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন তাঁরা। এনআইএর একটি দল অবশেষে তাঁদের গোপন আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয় মুসাভির হুসেন শাজ়িব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে।

গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। ২৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে খুঁজতে কর্নাটকের ১২টি এলাকা, তামিলনাড়ুর পাঁচটি এলাকা এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় তল্লাশি চালান এনআইএর আধিকারিকেরা।

মুজ়াম্মিলকে গ্রেফতারের পর থেকেই অন্য দুই সন্দেহভাজনের খোঁজ শুরু করে এনআইএ। তাদের দাবি, মুজ়াম্মিলের সঙ্গে শাজ়িব এবং আবদুল। এই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। মুজ়াম্মিলকে বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিলেন শাজ়িবই। আর পুরো বিস্ফোরণ ঘটনার ছক কষেছিলেন আবদুল। এনআইএ আবদুলকেই বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলচক্রী বলে দাবি করেছে।

এনআইএ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পাশাপাশি তেলঙ্গনা, কেরল এবং কর্নাটকের পুলিশও ছিল এই অভিযানে। ছদ্মনামে ওই দুই অভিযুক্ত লুকিয়ে ছিল বলে দাবি তদন্তকারী অফিসারদের। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গ্রেফতার হলেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement