সাপুরজির সেই আবাসন।
নিউটাউন এনকাউন্টার-কাণ্ডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এল পুলিশের। মৃত দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিংহ ছাড়াও ফ্ল্যাটে তৃতীয় ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলেছে ফরেন্সিক রিপোর্টে। তা ছাড়াও আবাসনের প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ভুল্লারদের ফ্ল্যাটে বেশ কয়েকজনের যাতাযাতও ছিল। তাঁরা কারা, যে তৃতীয় ব্যক্তির হাতের ছাপ পাওয়া গিয়েছে, তিনিই বা কে—উঠছে এমন বহু প্রশ্ন।
ময়নাতদন্তে দুই গ্যাংস্টারের শরীরেই বুলেটের অসংখ্য ক্ষত মিলেছে। বেশ কয়েকটি অঙ্গের ক্ষতি এবং অধিক রক্তক্ষরণের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টে ফ্ল্যাটে যে তৃতীয় ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলেছে, তা ভরত কুমারের কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাপুজির সুখবৃষ্টি আবাসনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে বেডরুম থেকেই চলেছে গুলির লড়াই। গুলি চালানো হয়েছে দু’তরফেই। খাট, আলমারি-সহ সারা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির দাগ মিলেছে। এমপি ৫ এবং গ্লক পিস্তলের প্রচুর খালি কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে ওই ভুল্লারদের ফ্ল্যাটে।
এ ছাড়াও ৮০টির মতো নকল পরিচয়পত্রও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র। ভুল্লারের ল্যাপটপে প্রয়োজন মতো আধার কার্ড তৈরির ব্যবস্থাও ছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে। একটি উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভে প্রচুর ‘হলিউড থ্রিলার’ ছবি পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে পুলিশের অনুমান, ‘ক্রাইম থ্রিলার’ ছবি দেখতে পছন্দ করত ভুল্লার।