Mamata Banerjee

সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের হয়ে কথা বলার দায়িত্বে চার জন, মমতার নির্দেশে কমিটি গঠন সুব্রত বক্সীর

এখন থেকে এই চার জন সাংবাদিক বৈঠক করবেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেবেন। সংবাদমাধ্যমে আলোচনাসভায় কারা যাবেন, দলের তরফে এই কমিটি সেই সিদ্ধান্তও নেবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ২২:০২
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের হয়ে বিবৃতি দেওয়ার জন্য চার জনকে দায়িত্ব দেওয়া হল। তৃণমূল সূত্রে খবর, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ‘মিডিয়া কমিটি’ গঠন করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। কমিটিতে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। এই চার জনের কমিটি প্রতিদিন বিষয়ভিত্তিক খসড়া তৈরি করবে। দলের অন্যান্য মুখপাত্ররা কোন অভিমুখে কথা বলবেন তা ঠিক করে দেবে এই কমিটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। মুখপাত্রদের নিয়ে একটি কর্মশালাও সংগঠিত হতে পারে। সংবাদমাধ্যমে আলোচনা সভায় কারা যাবেন, দলের তরফে এই কমিটি সেই সিদ্ধান্তও নেবে।

Advertisement

আগে দলের তরফে সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব পালন করত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর। তৃণমূল সূত্রে খবর, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সেই দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে এই পদক্ষেপ করেছে তারা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই বিষয়ে নেত্রী নির্দেশ দিতে চলেছেন। এ বার সেই নির্দেশ পেয়ে নতুন কমিটি গঠন করলেন সুব্রত।

জাতীয় বা রাজ্য স্তরে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে দলের কোন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া দেবেন, এত দিন তা ঠিক করত অভিষেকের দফতর। তাঁর দফতরই ঠিক করে দিত, চ্যানেলে চ্যানেলে বিভিন্ন বিতর্কে কারা অংশ নেবেন। সেই প্রতিক্রিয়ায় ‘পার্টি লাইন’ কী হবে, তা-ও নির্ধারণ করে দেওয়া হত। লক্ষ্য একটাই: যাতে একই সুরে সকলে কথা বলেন। যেমন সিপিএমে হয়। কোনও বিশেষ ঘটনায় পলিটব্যুরো থেকে এরিয়া কমিটি পর্যন্ত সকলের বয়ান যাতে একই হয় সেই কারণেই। কিন্তু আরজি কর পরিস্থিতি চলতে চলতেই সেই কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় অভিষেকের দফতর। শাসক দলের প্রথম সারির নেতারা মনে করেন, এটি আসলে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ‘দূরত্ব’-এর সূচক। এ-ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি আরজি কর-কাণ্ডে দলের সেনাপতি পুলিশ তথা প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট? উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে হামলার পর অভিষেক নিজে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। দাবি জানিয়েছিলেন দল, রং না দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে। বলেছিলেন, চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। তাঁদের আন্দোলনও সঙ্গত। এর পরেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার অভিষেকের দফতর সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব থেকে সরে এসেছে। এ বার সেই কাজের জন্য নেত্রীর নির্দেশে নতুন কমিটি গঠন করা হল।

আরও পড়ুন
Advertisement