Balurghat incident

আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় চাপে রাজ্য, রিপোর্ট চাইল জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশন

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা এলাকার চার মহিলা বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসায় তাঁদের চার জনকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করাতে দণ্ডি কাটানো হয়। এ নিয়ে জাতীয় জনজাতি কমিশনে চিঠি পাঠান সুকান্ত মজুমদার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২১
National Commission for Schedule Tribes seeks report from West Bengal police on Balurghat incident

তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব। — ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপিতে যোগ দিয়েও ফের তৃণমূলে ফিরে আসা ৪ আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর বিষয়টিকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। তাতে কিছুটা হলেও সাফল্য মিলল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের পরে জাতীয় তফশিলি জনজাতি কমিশন রাজ্য পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল। ডিজি মনোজ মালব্যকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে তিন দিনের মধ্যে ওই ঘটনার রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

Advertisement
জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশনের চিঠি।

জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশনের চিঠি। — নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা এলাকার প্রায় ২০০ জন মহিলা তাঁদের পরিবার-সহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর ফের তৃণমূলে ফিরে আসায় তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করাতে দণ্ডি কাটানো হয়। শনকইর গ্রামের বাসিন্দা মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মারডি, ঠাকরান সোরেন এবং মালতী মুর্মু। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় তাঁদের। অভিযোগ উঠেছে, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডি কাটিয়ে আবার তৃণমূলে যোগদান করানো হয় তাঁদের। প্রদীপ্তা বলেছিলেন, ‘‘ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে তাঁরা নিজেরাই বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডি কেটে এসে আবার তৃণমূলে যোগদান করেন।’’ এর পরেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় স্নেহলতা হেমব্রমকে।

তবে তার আগেই সুকান্ত চিঠি পাঠান জনজাতি কমিশনে। একই সঙ্গে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘‘অতীতের বিভিন্ন ঘটনাবলি এবং নানা মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূলের নেতাদের মানসিকতা কেমন। তবে এটা আর বরদাস্ত করা যাবে না।’’ এ বার সেই চিঠির কথা উল্লেখ করেই কমিশনের ডিরেক্টর মিরান্ডা ইংগুদাম রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement