Murder

বৌদির প্রতি ‘লালসা’, লোক ভাড়া করে ‘পথের কাঁটা’ দাদাকে খুন করালেন ভাই! নদিয়ায় গ্রেফতার তিন

রবিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত ভাই শঙ্কর শীল-সহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিনু এবং মহাদেব নামে ওই দু’জন অভিমন্যুরই বন্ধু। সোমবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ভীমপুর শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৫৯
A Photograph representing a dead body

‘পথের কাঁটা’ দাদাকে লোক ভাড়া করে খুন করানোর অভিযোগ উঠল খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।

বউ হয়ে বাড়িতে আসার পর থেকেই বৌদির প্রতি ‘কুনজর’ ছিল দেওরের! পরিবারের লোকেদের অন্তত তেমনটাই দাবি। তা নিয়ে বেশ কয়েক বার দাদার সঙ্গে ঝামেলাও হয়। সেই বিবাদে ঘৃতাহুতি দেয় সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল। এই পরিস্থিতিতে ‘পথের কাঁটা’ দাদাকে লোক ভাড়া করে খুন করানোর অভিযোগ উঠল খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম অভিমন্যু শীল। এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত ভাই শঙ্কর শীল-সহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিনু এবং মহাদেব নামে ওই দু’জন অভিমন্যুরই বন্ধু। সোমবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শঙ্কর অভিমন্যুর খুড়তুতো ভাই। পারিবারিক সম্পর্ক হলেও একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন না। পড়শিদের দাবি, অভিমন্যুর স্ত্রীকে বরাবর ‘কুনজরে’ দেখে এসেছেন শঙ্কর। তা নিয়ে ঝামেলাও হত। সম্প্রতি পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে অভিমন্যু ও শঙ্করের মধ্যে। তার পরেই শঙ্করের মায়ের মৃত্যু হয় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে। মায়ের মৃত্যুর জন্যেও অভিমন্যুকেই দায়ী করেছিলেন খুড়তুতো ভাই।

Advertisement

ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিভিন্ন কারণে অনেক দিন ধরেই অভিমন্যুর প্রতি শঙ্করের রাগ ছিল। সেই রাগেই শঙ্কর দাদাকে খুন করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের একাংশের মত, অভিমন্যুকে খুনের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর স্ত্রীর প্রতি শঙ্করের লালসা! পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে নিজের জমিজমা বিক্রি করে দিয়েছিলেন শঙ্কর। সেখান থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, দাদাকে খুন করতে সেই টাকা দিয়েই দিনু ও মহাদেবকে ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন শঙ্কর।

পরিবারের সদস্যের বয়ান এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধু মহাদেব মদ খাওয়ার জন্য অভিমন্যুকে ডেকে নিয়ে যান। তার পর সেখানেই মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে অভিমন্যুকে খুন করেন দিনু। খুনের সময় শঙ্কর ঘটনাস্থলে না থাকলেও পরে সেই রাতেই দিনু ও মহাদেবকে টাকা দিয়ে দেন তিনি।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement