Kidney Transplant

কলকাতার বাইরে রাজ্যে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনের নজির দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে, সুস্থ বাবা-ছেলে

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন আসানসোলের ডিসেরগড়ের পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চিকিৎসকেরা পার্থকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০১:২৩

—প্রতীকী চিত্র।

কলকাতার হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন হলেও রাজ্যের অন্যত্র এতদিন পর্যন্ত তা হয়নি। এ বার কিডনি প্রতিস্থাপিত হল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে। বাবার কিডনি প্রতিস্থাপিত হল ছেলের শরীরে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দাতা এবং গ্রহীতা বাবা-ছেলে দু’জনই ভাল আছেন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন আসানসোলের ডিসেরগড়ের পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চিকিৎসকেরা পার্থকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান। এর পর তিনি দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানেও চিকিৎসকেরা তাঁকে একই কথা বলেন। ফিরে এসে দুর্গাপুরের অন‍্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পার্থ। পার্থের বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি কিডনি ছেলেকে দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেই কিডনি ছেলের শরীরে সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। কলকাতার পর রাজ্যে প্রথম সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের নজির গড়ল পশ্চিম বর্ধমানের এই হাসপাতালটি।

জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ কিডনির অনেক জটিল রোগ ও সমস্যার সফল চিকিৎসা করলেও এর আগে কখনও কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের যেতে হত কলকাতা বা অন্য রাজ্যে। এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ১৫ অক্টোবর সফল ভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ছেলে এবং বাবা। এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে।

উজ্জ্বল বলেন, “কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পার্থের বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রায় লাখখানেক টাকা খরচ হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হত সাত থেকে আট লক্ষ টাকা।” তিনি আরও বলেন, “আমি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ছেলেও আমার সঙ্গে একই কাজ করে। হঠাৎ করে ছেলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া করাতেই পারতাম না। চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

Advertisement
আরও পড়ুন