Nadia

পড়ে রইল পছন্দ করে কেনা বেনারসি! পাত্র পছন্দ নয় বলে নিজেকে শেষ করে দিলেন নদিয়ার তরুণী

পাত্র পছন্দ না হওয়ায় ওই তরুণী কিছু দিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ১৯:৩৪
Woman mystery death ahead of her marriage

মৃতার পরিবারের লোকেদের প্রাথমিক বয়ান নেওয়ার পর একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

বিয়ের কয়েক দিন আগে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার কাঁঠালবেড়িয়ায়। মঙ্গলবার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে প্রার্থনা দাস নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি ২১ বছরের ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নগর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, পরিবারের লোকেদের ঠিক করা পাত্র পছন্দ না হওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন ওই তরুণী। সেখান থেকেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার পরিবারের লোকেদের প্রাথমিক বয়ান নেওয়ার পর একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাত্র পছন্দ না হওয়ায় ওই তরুণী কিছু দিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রার্থনা বেথুয়াডহরি কলেজের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনায় বেশ ভাল। বাবা পোশাক ফেরি করেন। মা বাড়ির কাজকর্ম সামলান। দুই বোনের মধ্যে প্রার্থনাই বড়। মাস দেড়েক আগে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করেন পরিবারের লোকজন। পাত্র একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বিয়ের দিন ঠিক হয় আগামী ৯ জুন। ২-৩ দিন ধরে বিয়ের কেনাকাটাও করেছেন প্রার্থনা। বিয়ের সময় কোন শাড়ি পরবেন, সেটাও পছন্দ করে কিনেছেন। তবে এক সপ্তাহ ধরে পরিবারের কারও সঙ্গে ভাল করে কথা বলেননি প্রার্থনা বলে জানাচ্ছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

প্রার্থনার বাবা গৌড় দাস বলেন, ‘‘বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। পাত্র যে পছন্দ নয় তা নিয়েও জোরদার ভাবে কিছু বলেনি মেয়ে। ও বললে নিশ্চয়ই আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতাম।’’ তরুণীর প্রতিবেশী তথা ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য হজরত শেখের মন্তব্য, ‘‘শুনেছিলাম প্রার্থনার পাত্র পছন্দ হয়নি। বিয়ের কেনাকাটা করে যখন ফিরল, তখনও দেখলাম কেমন যেন মনমরা হয়ে রয়েছে। এ ভাবে যে মেয়েটা নিজেকে শেষ করে দেবে ভাবতেও পারিনি।’’

মৃতার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের দাবি, আত্মহত্যার পিছনে প্রেমঘটিত কোনও কারণ থাকতে পারে। সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement