Wrong Treatment

‘ভুল’ ইনজেকশনে মৃত্যু বধূর! অভিযোগ করে করিমপুরের হাসপাতালে বিক্ষোভ পরিবারের

অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০১
representational image of death

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জ্বর এবং পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণী। পরিবারের অভিযোগ, ‘ভুল’ ইনজেকশন দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পরই হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতরে ক্ষোভে দেখান পরিবারের সদস্যেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নদিয়ায় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মৃতার নাম দিপালী কর্মকার (৩০)। তাঁর মৃত্যুতে হাসপাতালে ক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগ, তাতে বাকি রোগীদের চিকিৎসায় সমস্যা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিপালীর বাড়ি করিমপুর থানা এলাকার ধোড়াদহ গ্রামে। বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বর এবং পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিপালীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী সিদ্ধেশ্বর কর্মকার। তাঁর দাবি, হাসপাতালের জরুরিকালীন ওয়ার্ডে তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসক পরীক্ষা করার পর একটি স্যালাইন এবং ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন নেওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন দিপালী। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বার বার ডেকেও সাড়া মেলেনি চিকিৎসকের। বহু বার চিকিৎসার জন্য আবেদন করার পর বিকেলে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। কর্তব্যরত এক নার্স ওই ইনজেকশনটি দেন। তার পরই দীপালির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে বলে পরিবারের অভিযোগ। এর পর‌ই তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃতের স্বামী সিদ্ধেশ্বর বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর সামান্য জ্বর পেটে ব্যথা ছাড়া স্বাভাবিকই ছিল। সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন। খাবার খেয়েছেন। এমনকি হাঁটাচলা পর্যন্ত করছিলেন। এক জন নার্স ইনজেকশন দিয়ে চলে যান। তার পর‌ই আমার স্ত্রী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’’ ‘ভুল’ ইনজেকশন দেওয়ায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। হাসপাতাল সুপার মনীষা মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement