Nadia’s University Marriage Controversy

‘চক্রান্ত করে সম্মান নষ্ট করলেন এক সহকর্মী’! দাবি সিঁদুরকাণ্ডের অধ্যাপিকার, কী বলছেন সেই ছাত্র?

মঙ্গলবার থেকে সমাজমাধ্যমে ওই অধ্যাপিকা এবং এক ছাত্রের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, অধ্যাপিকার পরনে লাল বেনারসি। গলায় গোলাপ এবং রজনীগন্ধার মালা। তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দিতে দেখা যায় এক কলেজ ছাত্রকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৭
What did Professor say about the marriage controversy in class in Nadia’s University

ক্লাসরুমে অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরানোর ভিডিয়ো ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। —নিজস্ব চিত্র।

ক্লাসরুমে অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরানোর ভিডিয়ো ভাইরাল করার নেপথ্যে এক অধ্যাপক সহকর্মী রয়েছেন। তিনিই চক্রান্ত করে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করলেন নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)-র মনস্তত্ত্ববিদ্যার সেই অধ্যাপিকা। গোটা ঘটনায় যে ভাবে তাঁর সম্মানহানি করা হল, যে ভাবে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল, তাকে ‘মনুষ্যত্বের নোংরা উদাহরণ’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে সমাজমাধ্যমে ওই অধ্যাপিকা এবং এক ছাত্রের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, অধ্যাপিকার পরনে লাল বেনারসি। গলায় গোলাপ এবং রজনীগন্ধার মালা। তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দিতে দেখা যায় এক কলেজ ছাত্রকে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়। ক্লাসরুমে কী ভাবে এই আচরণ করলেন অধ্যাপিকা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিতর্কের আবহে ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ (ফলিত মনস্তত্ত্ববিদ্যা) বিভাগের প্রধান ওই অধ্যাপিকা ছুটিতে পাঠিয়ে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর মেলে, ওই অধ্যাপিকা মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, গোটা বিষয়টি একটি নাটকের অঙ্গ ছিল। অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সুনীর বাইন নামে ছাত্রের বক্তব্য, ‘‘যা বলার ম্যাডাম বলবেন।’’

বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে ওই অধ্যাপিকা জানান, ‘ফ্রেশার্স’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি নাটকের পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। বিয়ের দৃশ্যটি ওই নাটকেরই অংশ। কিন্তু ওই অংশটি ভিডিয়ো করে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে চক্রান্ত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপিকা। তিনি বলেন, ‘‘ভিডিয়ো ছড়ানোর নেপথ্যে এক সহকর্মী অধ্যাপক রয়েছে। উনি অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধান হতে চাইছেন। তাই সরাতে চাইছেন আমাকে। মানুষ যে কী পর্যায়ে নামতে পারে, তা কল্পনারও বাইরে। বিভাগীয় প্রধান হওয়ার লোভে কেউ এতটা নীচে নামতে পারে, ভাবতে পারছি না।’’

অধ্যাপিকার দাবি, ঘটনার তদন্ত হোক। ওই সময় সেখানে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

Advertisement
আরও পড়ুন