Tehatta

প্রসবের সময়ে হাসপাতালে যমজ সন্তানের মৃত্যু! হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রসূতির পরিবারের

প্রসূতির পরিবার জানাচ্ছেন, যদি সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত, তা হলে শিশু দুটোকে বাঁচানো যেত। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মীরা ঘুমোচ্ছিলেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৬
Twin died in Hospital in Tehatta

হাসপাতালে বিক্ষোভরত পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসায় গাফিলতিতে দুই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তেহট্টের অভয়নগরের বাসিন্দা রেখা বিবিকে। পরিবারের অভিযোগ, রেখাকে ভর্তি নেওয়ায় পর নার্সরা স্যালাইন, ইঞ্জেকশন দিলেও কোনও চিকিৎসক রোগীকে দেখেননি। তার মধ্যে একটি সন্তান প্রসব করেন রেখা। কিন্তু তার পরেও চিকিৎসকদের অবহেলায় সেই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই প্রসূতিকে ‘লেবার রুম’-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এখন চিকিৎসককেই কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যদি সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত, তা হলে শিশু দুটোকে বাঁচানো যেত। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মীরা ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁদের ডেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি। শুক্রবার কর্তব্যরত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তেহট্ট থানার পুলিশ। তখন পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।

Advertisement

রেখার স্বামী জহির বাদশার অভিযোগ, ‘‘প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছনোর পর থেকে কোনও চিকিৎসক স্ত্রীকে দেখেননি। শুধুমাত্র অবহেলা আর গাফিলতিতে আমার যমজ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’

এই বিক্ষোভের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তাঁরা। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার পরাশর পোদ্দার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত কমিটি তৈরি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement