TMC

কৃষ্ণনগরে সমবায় দখল করল তৃণমূল, পর্যুদস্ত বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের জোট

১২ আসনবিশিষ্ট ওই সমবায়ে ৮০০ ভোটার রয়েছেন। সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। অন্য দিকে, সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল আটটি আসনে। বিজেপি ও কংগ্রেস একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ২২:৫৩

—প্রতীকী চিত্র।

বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস হাত মিলিয়ে ‘মহাজোট’ করেও ফল হল না। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে দৈয়ের বাজার সমবায় সমিতির নির্বাচনে সব আসনে জিতলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। যদিও এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে দাবি করেছে সব বিরোধী পক্ষ।

Advertisement

১২ আসনবিশিষ্ট ওই সমবায়ে ৮০০ ভোটার রয়েছেন। সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। অন্য দিকে, সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল আটটি আসনে। বিজেপি ও কংগ্রেস একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। আর দু’টি আসনে দাঁড়িয়েছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। সমবায় সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে পরিস্থিতি বেশ কয়েক বার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার রাতে দৈয়ের বাজার এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। রবিবার সকালেও বিজেপির টেন্ট ভাঙাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট করানোর অভিযোগ তোলা হয়। কৃষ্ণনগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় নিজেই সেখান পৌঁছন। তাঁকে দেখে তৃণমূলের লোকেরা গো ব্যাক স্লোগানও দেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, সব ক’টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। প্রায় দু’দশক ধরে এই সমবায় সমিতি বামেদের দখলে ছিল। এ বার তা ছিনিয়ে নিল শাসকদল।

চাপড়া সিপিএম নেতা জাহাঙ্গির শেখ বলেন, ‘‘দৈয়ের বাজার সমবায় নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। আমাদের লোকজনকে মেরে তৃণমূল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিস নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’’ পাল্টা চাপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম বলেন, ‘‘মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে রামধনু বোর্ডের হাত থেকে পরিত্রাণ চাইছিল। বিভিন্ন আইনি জটিলতা নির্বাচন আটকে ছিল। নির্বাচন হতেই মানুষ বিরোধীদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement