21 July Rally

বাস নেওয়ায় ক্ষমা চাইছেন শাওনি, কানাই

যদিও জেলা বাস ব্যবসায়ী সংগঠনের মুখপাত্র শান্তনু সাহা বলেন, ‘‘সংগঠনগত ভাবে ওরা বাস নেয়নি। মালিকদের কাছ থেকে কিছু বাস নিয়েছে।

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৭:০০
একুশে জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার জন্য বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে দলীয় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়লো। ছবি গৌতম প্রামাণিক।

একুশে জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার জন্য বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে দলীয় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়লো। ছবি গৌতম প্রামাণিক।

বুধবার থেকেই মুর্শিদাবাদের নেতাকর্মীরা কলকাতা যাওয়া শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার অধিকাংশ নেতাকর্মী ট্রেনের পাশাপাশি বাস, ছোট গাড়িতে শহিদ সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল যার প্রভাব পড়তে শুরু করে পরিবহণ ব্যবস্থার উপরে। যত বেলা গড়িয়েছে কলকাতামুখী ট্রেনে যেমন ভিড় বেড়েছে, তেমনই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন রুটের যাত্রিবাহী বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের আমজনতা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাস্তায় বাস কম চলায় বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। তবে তৃণমূলের দাবি, তাঁরা রুটের নয়, ট্যুরিস্ট বাস বেশি নেওয়ার চেষ্টা করেছে।

যদিও জেলা বাস ব্যবসায়ী সংগঠনের মুখপাত্র শান্তনু সাহা বলেন, ‘‘সংগঠনগত ভাবে ওরা বাস নেয়নি। মালিকদের কাছ থেকে কিছু বাস নিয়েছে। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট বাস নিয়েছে। ফলে রুটের বাসে খুব বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে হচ্ছে।’’ রঘুনাথগঞ্জের বাস ব্যবসায়ীদের সংগঠন মুর্শিদাবাদ জেলা বাস ব্যবসায়ীর সম্পাদক মনিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের এখান থেকে যাত্রিবাহী বাস নেয়নি বললেই চলে। দু’একটি বাস মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া নিতে পারে।’’

Advertisement

বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘বছরে এক বার দলীয় এমন কর্মসূচি তো করতে হয়। আর তাতে লোকজনকে তো যেতে হবে। তাই একটা দিন মানুষের কষ্ট হওয়ায় আমরা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের লোকজনকেও তো কলকাতায় সভা যোগ দিতে যেতে হবে। তাই যানবাহনও প্রয়োজন। মানুষের সমস্যা হওয়ায় আমরা ক্ষমা চাইছি। কিন্তু বাস নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।’’

বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রায় এক লক্ষ কর্মী সমর্থক কলকাতার সমাবেশে যাচ্ছেন বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে। প্রায় এক হাজার ছোট গাড়ি, ১৫০টি বাসের পাশাপাশি ট্রেনে করে তাঁরা কলকাতায় যাচ্ছেন। শাওনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে কলকাতায় প্রায় ৪৫ হাজার কর্মী-সমর্থক পৌঁছে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে অধিকাংশ কর্মী সমর্থক পৌঁছে যাবেন। যাঁরা বাকি থাকবেন শুক্রবার সকালের মধ্যে কলকাতা পৌঁছে যাবেন।’’জঙ্গিপুর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মী সমর্থক কলকাতার শহিদ সমাবেশে উপস্থিত হবেন। ৫০০টি ছোট গাড়ি, ৩০০-৪০০টি বাস ও ট্রেনে করেও কর্মীরা কলকাতা যাবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement