TMC

মহিলা ও তরুণ মুখে ভরসা দলের সভাধিপতি হচ্ছেন সামসুজ্জোহা

৪৬ বছর বয়সী এই তৃণমূল নেতা বর্তমানে জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১০
সামসুজ্জোহাকে (মাঝখানে) শুভেচ্ছা দলীয় নেতাদের। নিজস্ব চিত্র

সামসুজ্জোহাকে (মাঝখানে) শুভেচ্ছা দলীয় নেতাদের। নিজস্ব চিত্র

সম্ভাব্য জেলা সভাধিপতি হিসেবে তাঁর নাম অনেক দিন ধরেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হিসেবে সামসুজ্জোহা বিশ্বাসকেই মনোনীত করল তৃণমূল। ৪৬ বছর বয়সী এই তৃণমূল নেতা বর্তমানে জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতা থেকে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি হচ্ছেন রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা ঝর্না দাস। বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হচ্ছেন কান্দির ইসারুল শেখ হক। বর্তমানে ওই পদটি ফাঁকা পড়ে ছিল। সামসুজ্জোহার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা বজলুর রহমান। তবে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগে বহিষ্কৃত জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম এবং আরেক স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হকের বিষয়ে দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ ইউনিটের জেলা সভাপতি শাওনী সিংহরায় বলেন, ‘‘জেলার পরিষদের চারটি পদে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম এ দিনই ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরাই ওই চারটি পদে আমাদের প্রার্থী। তবে সভাধিপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।’’ একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘যে দু’জন কর্মাধ্যক্ষকে দলবিরোধী কাজ করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দল নিশ্চয় পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও দল করছে।’’ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডলকে (মধু) দলবিরোধী কাজের অভিযোগে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। জেলা পরিষদের তৎকালীন সহকারী সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাসও দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্ত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দরবার শুরু করলেও দল তাঁকে ফেরায়নি। ভোট মিটে গেলে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যরা। কিন্তু অনাস্থা বৈঠকের আগে তাঁরা পদত্যাগ করেন। প্রায় ১০ মাস ধরে ওই দু’টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া, বছর দেড়েক আগে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের মৃত্যুর জেরে ওই পদটিও এতদিন ফাঁকা পড়ে ছিল।

গত ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি নির্বাচন দ্রুত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বৈঠক করে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত করা হল। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম, জেলা পরিষদ) অপ্রতীম ঘোষ বলেন, ‘‘সভাধিপতি নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। রাজ্য থেকে নির্দেশিকা পেলে সভাধিপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement