Tapas Saha

২৫ জনকে চাকরি দিতে ১৬ কোটি নিয়েছি! সিবিআই তদন্তের নির্দেশে বিধায়ক কষলেন ‘পাটিগণিত’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও ওই বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। কী বললেন তিনি?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩৯
TMC MLA Tapas Saha reacts after Calcutta High Court\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s order to CBI probe against him

সিবিআইকে সহযোগিতার আশ্বাস তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। — ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই নির্দেশের পর তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তাপস। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের দু-এক জন বিজেপির সঙ্গে যৌথ ভাবে চক্রান্ত করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-কে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর তাপসের দাবি, তিনি রাজনীতির শিকার। তাপস বলেন, ‘‘স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত! আমাদের একটাই অপরাধ যে, আমরা তৃণমূল করি।’’ এই সূত্রেই তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমার দলের দু-এক জন বিজেপির সঙ্গে যৌথ ভাবে চক্রান্ত করে এটা করেছে। আমি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করব।’’ সেই সূত্রেই তাপসের সংযোজন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে স্থানীয় ২ নেতানেত্রী যুক্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই নোংরামো করেছে।’’

তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। এ নিয়ে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। এর মধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হয় পলাশিপাড়া বিধানসভা এলাকা থেকে। অন্য দু’টি যথাক্রমে পাঠানো হয় তেহট্ট এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সেই খবর প্রথম প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার অনলাইনে। এই অভিযোগ শুনে তাপস মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পাটিগণিত বলে একটি বিষয় আছে। ২৫ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ আর ১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ! মানে চাকরি পিছু ৫০ লাখ টাকারও বেশি! এর থেকে হাস্যকর আর কিছু হতে পারে না।’’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম জড়ানো নিয়ে তাপসের মন্তব্য, ‘‘এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। এলাকার সকলে জানেন, আমাদের ৭০ বিঘার উপরে চাষের জমি ছিল। এখন সেটা ১০ বিঘার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতায় এসে লোকের সম্পদ বাড়ে। কিন্তু আমার কমেছে। কেউ যদি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তা হলে তা আক্ষেপের বিষয়।’’

তাপসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই তৃণমূলের প্রতি আবারও খড়্গহস্ত হয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূলের আরও একটা উইকেট পড়ল! সর্বোচ্চ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এত বড় অপরাধ সংগঠিত করা কোনও বিধায়কের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তদন্তের গতি আস্তে আস্তে সঠিক দিকে এগোচ্ছে।’’

তাপসের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আইন আইনের পথেই চলবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দল কাউকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে বলেনি। কেউ যদি যুক্ত হয়ে থাকেন তা হলে আইন অনুযায়ী তার ব্যবস্থা হবে। তবে বেছে বেছে শুধু তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তের নির্দেশ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সেটাও ভাবার অবকাশ আছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement