Tapas Saha

নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবার নদিয়ার তেহট্টের বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩৪
Tapas Saha

তৃণমূল বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

তৃণমূল বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে অনেক আগেই। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, অবিলম্বে পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। বলা হয়েছে, কেস ডায়েরি-সহ মামলার নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেবে পুলিশ।

Advertisement

গত বছর তাপসের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাইমারি (প্রাথমিক), আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক), এসএসসি, দমকল, ডব্লিউবিসিএস, আইসিডিএস-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তাপস সাহার নাম আসে। পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাপসের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হন। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এক বছর ধরে চার্জশিট পেশ হয়নি। কেন তাপসকে ডাকা হয়নি, আদালতের এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে পারেনি তদন্তকারীরা। এর পরই রাজ্য পুলিশ থেকে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।’’

উল্লেখ্য, তাপসের বিরুদ্ধে তদন্তভার ছিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার হাতে। নিম্ন আদালতে তারা যে রিপোর্ট পেশ করে, তাতে উল্লেখ করা ছিল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল জেরায় দাবি করেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩০-৩৬ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তাঁর মাধ্যমেই তৃণমূল বিধায়কের কাছে গিয়েছে। চাকরি বিক্রির কমিশন হিসাবে তিনি আরও ৩০-৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন