প্রতীকী ছবি।
প্রধানের অপসারণ চেয়ে বিডিওকে চিঠি দিলেন ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য। কালনা ২ ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত বাদলা পঞ্চায়েতের ওই সদস্যেরা রয়েছেন শাসক দলেই। প্রধান নিয়মিত পঞ্চায়েতে না আসায় উন্নয়নের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
১৬ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে সব সদস্যই তৃণমূলের। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ব্লক প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে এখনকার প্রধান গীতশ্রী গোস্বামীকে সরিয়ে নতুন প্রধান নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, প্রধান ‘খামখেয়ালি’ আচরণ করেন। প্রায় দু’বছর ধরে নিয়মিত পঞ্চায়েতে আসেন না। গ্রামের মানুষজন প্রয়োজনে প্রধানের বাড়িতে গেলে ‘দু্র্ব্যবহারের’ মুখে পড়তে হয়। নানা দরকারে প্রধানের কাছে গেলেও ফিরে আসতে হয়েছে। এর ফলে, এলাকার মানুষের মনে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের আরও অভিযোগ, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতেও প্রধানের দেখা বা সহযোগিতা মেলেনি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ব্লক প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান নিয়মিত পঞ্চায়েতে আসেন না। ফলে, দূরদূরান্ত থেকে নানা প্রয়োজনে আসা মানুষকে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অপেক্ষা করে চলে যেতে হয়। প্রধানের অনুপস্থিতির কারণে পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজেরও সমস্যা হচ্ছে। এলাকায় প্রশ্নের মুখে পড়ছেন সদস্যেরা। কালনা ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়ের দাবি, ‘‘প্রধানের পরিবারের লোকজন বাম আমলে নানা ভাবে অত্যাচারিত হয়েছিলেন। সে কথা মাথায় রেখে ওই পরিবার থেকে প্রধান করা হয়েছিল। কিন্তু গীতশ্রীদেবী এর মর্যাদা দিতে পারেননি। বারবার ভুল-ত্রুটি শোধরানোর চেষ্টা করা হলেও কাজ হয়নি। এলাকাবাসীকে ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যেরা এমন চিঠি দিয়েছেন বিডিওকে।’’
প্রধান গীতশ্রীদেবীর সঙ্গে বুধবার বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। পঞ্চায়েত সদস্যদের চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে কালনা ২ বিডিও দেবল উপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’