Pradhan Mantri Awas Yojana

আবাসে ঘুষ, প্রশাসনকে তোপ তৃণমূল নেতার

সমীক্ষায় অবশ্য সাগরদিঘিতে বাদ পড়ে ৭৭৮৭ টি পরিবার। বাদ পড়ার কারণ সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে এদের প্রায় ৯৯ শতাংশেরই পাকা বাড়ি রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আবাস প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে সাগরদিঘিতে কিছু প্রশাসনিক কর্তা রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতে চাইছেন।

Advertisement

শুক্রবার সাগরদিঘিতে সরাসরি এই অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই জেলা সম্পাদক মোদাসসর হোসেন। তাঁর অভিযোগ, “৫ দিন আগে প্রকাশিত তালিকায় বাতিল বলে গণ্য হওয়া কয়েকশো পরিবারের নাম ফের আবাস তালিকায় কী ভাবে ঢুকল সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে প্রশাসনকে। এর পিছনে বড়সড় কাটমানির লেনদেন আছে বলে সন্দেহ আমাদের। দলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানকে আমি সমস্ত ঘটনা জানিয়ে অবিলম্বে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছি।সাগরদিঘির সর্বশেষ তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামে গ্রামে তা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা উঠছে। তাই অবিলম্বে এ নিয়ে তদন্তের দাবি করছি।”

২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসন সমীক্ষা করে যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে সাগরদিঘিতে ১৭০৯৯ জন আবেদনকারীর নাম ছিল। সমীক্ষায় অবশ্য সাগরদিঘিতে বাদ পড়ে ৭৭৮৭ টি পরিবার। বাদ পড়ার কারণ সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে এদের প্রায় ৯৯ শতাংশেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। আয় বেশি, এক বার পাকা বাড়ি পেয়েছেন, অথবা আড়াই থেকে ৫ একর জমি রয়েছে। তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয় সে দিন।

মোদাসসর বলেন, “এই অবস্থায় সাগরদিঘি ব্লকে সর্বশেষ আর একটি আবাস তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় রাতারাতি ১১টি অঞ্চলে ফের হাজার খানেক পরিবারের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।তা নিয়ে প্রশ্ন করছে অনেকেই। তাঁরা ভাবছেন শাসক দলেরকারসাজিতেই এই দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রশাসনের একাংশের দুর্নীতির কারণেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বাতিল হওয়া নাম। কারণ তালিকা সংশোধন করার জন্য যে পাসওয়ার্ড লাগে তা রয়েছে প্রশাসনের কর্তাদের কাছেই।”

সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান বলেন, “বিত্তশালীদের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলাম। সেই তালিকা প্রশাসনের কাছে জমাও দিয়েছিলাম। সেগুলিতো বাদ পড়েইনি উল্টে “ইন এলিজেবল” তালিকায় থাকা বহু নাম কাটমানির বিনিময়ে ঢুকে পড়েছে তালিকায়।’’

প্রশাসনের কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

Advertisement
আরও পড়ুন