TMC

ভারসাম্য নীতি মেনে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদের পদাধিকারী বাছল তৃণমূল

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর ও বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ২০:২৩

—প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ বৈঠকের পর সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন সুতির রুবিয়া সুলতানা। সহ-সভাধিপতি হলেন আতিবুর রহমান। অন্য দিকে, নদিয়ায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হল তামান্নুম সুলতানা মীরকে। সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল সজলকুমার বিশ্বাসকে।

Advertisement

সোমবার মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন ছিল। মুর্শিদাবাদে যাঁকে সভাধিপতি করা হয়েছে, সেই রুবিয়া সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমামি বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ। জেলা পরিষদের ৭৮টি আসনের মধ্যে ৭১টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। কংগ্রেস জেরে পাঁচটি এবং সিপিএম জেতে ২টি আসনে। সুতির ২ নম্বর ব্লকের ৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন রুবিয়া এবং বেলডাঙার ৬৯ নম্বর আসনে জিতেছিলেন মির্জাপুরের আতিবুর। তৃণমূল সূত্রে দাবি, দুই পদাধিকারী বাছাইয়ে ভারসাম্য-নীতি মেনে চলেছেন দলীয় নেতৃত্ব। এক জনকে জেলার উত্তর অংশ থেকে আর অন্য জনকে দক্ষিণ অংশ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

নদিয়ায় জেলা পরিষদের ভোটে এ বারও বিদায়ী সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু এবং সহ-সভাধিপতি দীপক বসু জিতেছিলেন। কিন্তু মুখ বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে দাবি, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সভাধিপতি করা হল তামান্নুমকে। তিনি কালীগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আগের বার তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন নবদ্বীপের অন্তর্গত ২৪ নম্বর আসন থেকে। অন্য দিকে, সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত হওয়া সজল ছাত্র যুব আন্দোলনের মুখ। দলীয় সূত্রে খবর, নতুন প্রজন্মকে সামনের সারিতে আনতে সজলকে সহ-সভাধিপদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। নদিয়াতেও ভারসাম্য নীতি পদাধিকারী বাছাই করা হয়েছে। সহ-সভাধিপতি পদ পেয়েছেন নদিয়া দক্ষিণের এক জন এবং সভাধিপতি পদ পেলেন নদিয়ার উত্তরের এক জন।

আরও পড়ুন
Advertisement