shyamnagar

গত বারের ফাঁকা মাঠে চোরকাঁটা বিজেপি

২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনও বিরোধিতাল ছাড়াই এই পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বা সিপিএম এখানে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারিনি।

Advertisement
সুদেব দাস
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১৬
Shaymnagar panchayat office.

শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র

রানাঘাট শহরের উপকণ্ঠে শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এক সময়ে সিপিএমের দখলে থাকলেও ২০১৩ সালে কংগ্রেস এটি দখলে করে। কিন্তু তার এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৪ সালে জয়ী প্রার্থীরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনও বিরোধিতাল ছাড়াই এই পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বা সিপিএম এখানে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারিনি। সে বার বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত হলেও এ বার লড়াইটা মূলত তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির হতে চলেছে বলে স্থামনীয় মানুষজনের ধারণা। তবে তৃণমূল কাদের প্রার্থী করে সে বিষয়টিও নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisement

গত লোকসভা নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের চেয়ে প্রায় দুই হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল তাদের চেয়ে ৬৮১ ভোটে এগিয়ে যায়। বিজেপি এখন এই এলাকায় সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত বোর্ড দখলে রাখা তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের অনিয়ম নিয়ে বিজেপি সুর চড়াচ্ছে। প্রচার পর্বেও সেটা বড় হয়ে উঠতে পারে।

তৃণমূল সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ এবং উন্নয়নের প্রচার তার মোকাবিলা করতে পারে কিনা, সেটা সময় বলবে।

আরও পড়ুন
Advertisement