Russia Ukraine War

Ukraine crisis: এক বাঙ্কারে ভারত-পাকিস্তানের ছাত্র

কিভে হস্টেলের আন্ডারগ্রাউন্ডে ঠাঁই নিয়েছেন তেহট্টের ভিটারপাড়ার যুবক কিভ মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ।

Advertisement
সন্দীপ পাল ও সাগর হালদার
তেহট্ট, নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৩৭
ফোনে সুমনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা। নাকাশিপাড়ায়।

ফোনে সুমনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা। নাকাশিপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। তাই অভাবের সংসারে ধারদেনা করে ইউক্রেন পাড়ি দেন নাকাশিপাড়ার মুড়াগাছা পঞ্চায়েতের শালিকগ্রামের বাসিন্দা সুমন মণ্ডল। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের হঠাৎ করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমন ইউক্রেনের রাজধানী কিভের একটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। ভিডিয়ো কলে তিনি জানান, হস্টেল বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। থেকে শুনছেন মিসাইল ও বোমার আওয়াজ। বাঙ্কারে দু’তিন দিনের মতো খাবার মজুত রয়েছে। তা ফুরিয়ে গেলে কী হবে জানেন না। বাইরে বা হওয়া বারণ। তবে বেরোলেও কোনও দোকান খোলা নেই। এটিএম-এ টাকা নেই। জানলা খুললেই বাইরে যুদ্ধ ট্যাঙ্ক দেখা যাচ্ছে। তবে তা কোন দেশের তা জানা নেই। সুমন বলেন, ‘‘আমরা ভারতীয় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিভিন্ন বর্ডারের নাম করে বলা হচ্ছে সেখানে নিজের দায়িত্ব যেতে। তবে বাইরের পরিস্থিতি যা তাতে কোনও মতেই সম্ভব নয়।’’

Advertisement

সুমনের বাবা অমর আলি মণ্ডলের চোখে জল। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। ও বাড়ি ফিরবে কী ভাবে?’’

ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই দোগাছি পঞ্চায়েত পাটপুকুরের সাজিরুল খানও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউক্রেনে যান। আর যুদ্ধের কারণে আটকে পরার কারণে দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। শনিবার বিকালে সাজিরুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। তিনি জানান, বাঙ্কারে একটা হল ঘরে তিনশোরও উপর লোকজন রয়েছেন। শোয়ার কোনও উপায় নেই। বসে বসেই রাত কাটাতে হচ্ছে। ছেলে ভালয় ভালয় ঘরে ফিরুক তা-ই চাইছেন পরিবারের লোকজন।

ইউক্রেনের রাজধানী কিভে হস্টেলের আন্ডারগ্রাউন্ডে ঠাঁই নিয়েছেন তেহট্টের ভিটারপাড়ার যুবক কিভ মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ শেখও।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনের কিভ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন সৌরভ। গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনে যান। ভিডিয়ো কলে সৌরভ জানিয়েছেন সেখানকার পরিস্থিতির কথা। তিনি জানান, থেকে থেকে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের আওয়াজ। আকাশে মাঝেমধ্যেই উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। এই ধরনের পরিস্থিতিতে হস্টেলের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে হচ্ছে তাদেঁর। যেখানে ভারতীয়েরা ছাড়াও পাকিস্তান, আফগানিস্তানের ডাক্তারি পড়ুয়ারাও ঠাঁই নিয়েছেন। দিনের বেলায় আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে উপরে উঠে খাবার খান। বাকি সময় বিশেষত রাতে সেই ভূগর্ভস্থ জায়গাতেই লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement