Suicide at Ranaghat

মোবাইল ঘাঁটা নিয়ে মায়ের বকা, মিলল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্মিতা পূর্ণনগর পূর্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত। এ দিন দুপুরে সে বাড়িতে মোবাইল ঘাঁটাঘাটি করছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০৬
মায়ের কাছে বকা খেয়ে আত্মহত্যা।

মায়ের কাছে বকা খেয়ে আত্মহত্যা। প্রতীকী চিত্র।

সপ্তাহখানেক আগে পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। স্কুল এখন ছুটি। তাই বাড়িতে বেশিরভাগ সময়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত কিশোরী মেয়ে। সোমবার দুপুরে সর্ব ক্ষণ মোবাইল ঘাঁটা নিয়ে মায়ের বকুনি খায় সে। আর তার পরেই ওই স্কুলপড়ুয়া আত্মঘাতী হয় বলে দাবি মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সুস্মিতা বালা (১৩)। সে পূর্ণনগর পূর্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই বছর ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিল।

Advertisement

রানাঘাট থানার মাটিকুমড়ায় সোমবারের ওই ঘটনায় স্বভাবতই স্তম্ভিত পড়ুয়ার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রতিবেশীরা।

কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্মিতা পূর্ণনগর পূর্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত। এ দিন দুপুরে সে বাড়িতে মোবাইল ঘাঁটাঘাটি ছিল। তার মা তাকে মোবাইল দেখতে বারণ করলেও সুস্মিতা কথা শোনেনি। এর পরেই মা মেয়েকে বকাঝকা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের বকা খাওয়ার পরে সুস্মিতা মোবাইল রেখে দিয়ে বাড়ির দ্বিতলের ঘরে চলে যায়। তার কিছু সময় পর পরিবারের অন্য সদস্যেরা সুস্মিতাকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তড়িঘড়ি ছাত্রীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।

ছাত্রীর বাবা শঙ্কর বালা বলেন, ‘‘মেয়ে মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। অধিকাংশ সময়ে ফোন হাতে নিয়ে থাকত। ওই জন্য ওর মা এ দিন ওকে বকেছিল। মায়ের সামান্য বকাঝকার কারণে মেয়ে আত্মহত্যা করবে, কখনও ভাবতে পারিনি।’’

সুস্মিতার স্কুলের শিক্ষক সমীর সরকার বলেন, ‘‘কমবয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য মোবাইল যে কতখানি ভয়ঙ্কর ও ক্ষতিকর, তা ভেবে সত্যিই চিন্তা হচ্ছে। এর পরিণতি যে কী হতে পারে, আজ কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। স্কুলে ছেলেমেয়েদের কম বয়স থেকেই শিক্ষাদানের পাশাপাশি নৈতিক চেতনা বোধ এবং জীবনের মূল্যও নিয়েও কিছুটা হলেও সময় দেওয়ার সময় এসেছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement