WB assembly election

WB Municipal Election 2022:মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে নালিশ

গড় সামলাতে মাঠে নামলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শনিবার দিনভর পুরভোট নিয়ে শহরে তিনি কখনও মিছিল করলেন, কখনও ধর্না দিলেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪১
পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে কংগ্রেসের প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ অধীরের ।

পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে কংগ্রেসের প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ অধীরের ।

নিজের গড় সামলাতে মাঠে নামলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শনিবার দিনভর পুরভোট নিয়ে শহরে তিনি কখনও মিছিল করলেন, কখনও ধর্না দিলেন। বিকেলে সই জাল করে তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বহরমপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রার্থী সমর হাজরা। শনিবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন,

‘‘আমি মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য কোনও অনুমতিপত্র দিইনি। অথচ আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার বিজ্ঞপ্তি মহকুমাশাসকের অফিসে দেওয়া হয়‌েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যাই। আমি জানতে পারি আমার সই জাল করে এটা করা হয়েছে। বিষয়টি মহকুমাশাসককে লিখিত ভাবে দেওয়ার পরে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘হয়তো এই মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে আমাদের এফআইআর করতে হবে। কারণ মহকুমাশাসক বলছেন প্রার্থিপদ প্রত্যাহার হয়েছে। আর যিনি প্রার্থী তিনি তাঁর সামনে বসে বলছেন তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।’’ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অধীর বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বলব এখনও আদালত মরে যায়নি। যা খুশি তাই হতে দেব না। প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আন্দোলন অনশন করব।’’
যদিও বহরমপুরের মহকুমাশাসক প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাবককে অনুমতিপত্র দিয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর সই মিলিয়ে দেখেছি। মনোনয়ন

Advertisement

পত্র প্রত্যাহারের অনুমতিপত্রে ওই প্রার্থীরই সই রয়েছে।’’
গত কয়েক দিন ধরে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বহরমপুরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির অভিযোগ তুলে আসছিল কংগ্রেস। সেই আবহে শুক্রবার কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে শাসকদলে ভিড়েছেন। এবারে বহরমপুরের বাকি ২৬ টি ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীদের জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিস পৌঁছন অধীর। এর পরেই অধীর বলেন, ‘‘এখন এসপি সকলের কথা শুনেছেন। পরে কী করবেন তা তিনিই জানেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আমাদের হাতে আন্দোলন আছে, প্রতিবাদ আছে। অহিংস পথে আন্দোলন করব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলব আমাদের নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ দিন। হার জিত যা হওয়ার হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বড় অদ্ভুত বিষয় যে ঘটনার কথা পুলিশকে জানানোর পরে পুলিশ যাচ্ছে। অস্বীকার করব না, ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় না। তাঁরা অবশ্যই যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা ঘটার পরে যাচ্ছে।’’ যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনী সিংহ রায় অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘‘ভোটের ময়দানে, খবরে কাগজে টিকে থাকতে দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি ছুটে এসে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সত্যি হলে এখন থেকে এতগুলি বিধায়ক এখান থেকে বের করতে পারতাম না।’’

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শহর জুড়ে পুলিশ ঘুরছে। অভিযোগ পেলেই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবিমল পালকে দেখিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিনরাত পুলিশ বাহিনী নিয়ে শহরে ঘুরছেন, অভিযোগ পেলে ছুটে যাচ্ছেন, পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

বিজেপির তরফে বিজেপি প্রার্থী বাড়িতে হামলার অভিযোগ যেমন উঠেছে, তেমনই তাঁদের প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement