তালা বন্ধ ঘরে ইভিএম যন্ত্র। নিজস্ব চিত্র।
আমিরুল না জইদুর?
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনী তাপ উত্তাপের পর শুক্রবার ছিল বিশ্রামের পরিবেশ। তার মধ্যেই দিনভর এই জল্পনাতেই মজে রইল গোটা শমসেরগঞ্জ।
চায়ের দোকান থেকে পাড়ার ঠেক, গাছের তলা থেকে তাসের আড্ডা সর্বত্রই নির্বাচনের পরের দিন চলল চুলচেরা হিসেব নিকেষ।
শমসেরগঞ্জে শেষ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৯.৯২ শতাংশ। আর জঙ্গিপুরে ৭৭.৬৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে শমসেরগঞ্জে ভোট পড়েছিল ৮১.৯২ শতাংশ, ২০১১ সালে ৮৬.৩৫ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ২০১৬ সালে পোলিং হার ছিল ৮৩.৮২ শতাংশ এবং ২০১১তে ৮৫.৫৬ শতাংশ। তুলনায় এবারে দুই কেন্দ্রের ভোটের হার কমেছে অনেকটাই। এর প্রধান কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের অনুপস্থিতি ও কার্যত গুরুত্বহীন মনে করে অনেকেরই ভোট দেওয়ার আগ্রহের অভাব।
পুরসভায় কে এগিয়ে, কেই বা পিছিয়ে আমিরুলের গড় ভাসাই পাইকর ও দোগাছিতে? তিনপাকুড়িয়ায় জইদুর, না চাচণ্ডতে আমিরুল, কে কতটা এগিয়ে পিছিয়ে।
রাজনৈতিক দলের অফিসগুলিতে তো বটেই, চায়ের দোকান, বাস স্ট্যান্ড, বাজার হাট সর্বত্রই ভোটের পর যার সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারই জিজ্ঞাসা “দাদা শমসেরগঞ্জের খবর কী?”
কেউ বলছেন ৫০ হাজারে আমিরুলের জয় নিশ্চিত। কারও মতে দু’হাজারে হলেও জিতছেন জইদুরই।
শমসেরগঞ্জ নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন একেবারেই নিরুত্তাপ জঙ্গিপুর। ভোট নিয়ে যা কিছু জল্পনা প্রার্থী ও তার এজেন্টদের মধ্যে। সাধারণ মানুষের মধ্যে জঙ্গিপুরের ভোটের ফল নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। যেন তারা জেনেই গিয়েছেন জঙ্গিপুরের ফল কী হতে চলেছে। প্রার্থীদের মধ্যে কৌতুহল বলতে ভোটের ব্যবধান। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন তো বলেই দিলেন, “বাম ও বিজেপির জামানত জব্দ করে এক লক্ষের বেশি ভোটে জিতব।”
আর বিজেপির সুজিত দাস বলছেন, “বিজেপি প্রভাবিত বুথগুলিতে পোলিং হার খুব কম। বহু বুথে এজেন্ট দেওয়া যায়নি। আমাদের ভোট টার্গেট ছিল ৭০ থেকে ৮০ হাজার । কিন্তু তা কমবে অনেকটাই। অলীক স্বপ্ন আমি দেখি না। তবে লড়াই আমার সঙ্গেই।”
তৃণমূল শিবিরে অবশ্য জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে জাকিরের মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়ে।