মানিক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
যে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে লড়তে নেমেছিলেন, সেই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদেই ফিরলেন মানিক ভট্টাচার্য। নিজের এলাকায় জনপ্রতিনিধির যে দায়িত্ব থাকে, তা তৃণমূল বিধায়ক কী করে সামলাবেন, সেই প্রশ্ন অবশ্য উঠছেই।
এর আগেও দশ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সামলেছেন মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি-ভূরি অভিযোগও উঠেছে সেই পর্বে। এ বারের ভোটে পলাশিপাড়ার বিদায়ী বিধায়ক তাপস সাহাকে তেহট্ট কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যায় তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। তাপসের বদলে প্রার্থী করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। তার আগে তিনি মূলত কলকাতাতেই থাকতেন। প্রায় ৫৩ হাজার ভোটে জিতে বিধায়ক হন মানিক। এ বার তাঁর পাঁচ বছর উন্নয়নের কাজ করার কথা। মানিকের অনুগামীদের আশা ছিল, তাঁকে মন্ত্রী করা হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। বদলে পুরনো পদই ফিরে পেলেন তিনি।
পলাশিপাড়ার বাসিন্দাদের আক্ষেপ, দীর্ঘদিন সেখানে উন্নয়নের কাজ বিশেষ হয়নি। সরকারি কলেজ, কৃষক বাজার, আইটিআই কলেজ, সেতু— এলাকার বেশির ভাগ চাহিদাই পূরণ হয়নি। এমনকি বাসস্ট্যান্ডও বেহাল। নতুন বিধায়ক সেই সব কাজে হাত দেবেন বলে অনেকেই আশা করেছিলেন। এখন সরকারি পদ নিয়ে বিধায়ক যদি ফের কলকাতাতেই থিতু হন, তিনি এলাকায় কতটা সময় দিতে পারবেন, এলাকার উন্নয়ন কতটা কী হবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
বিজেপি উত্তর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি তথা গত নির্বাচনে পলাশিপাড়া কেন্দ্রের প্রার্থী বিভাস মণ্ডলের দাবি, “গত বারের বিধায়ক সে ভাবে কাজ করেননি। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, বর্তমান বিধায়ক আশা পূরণ করবেন। কিন্তু পলাশিপাড়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।” তেহট্ট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের রণদাপ্রসাদ বসু বলেন, “বিধায়ক একটি পদে নিযুক্ত হয়েছেন। এই কেন্দ্র দেখভালের দায়িত্ব কে নেবেন, তা তিনি কিছু দিন পরে এলাকায় এলে কথা বলে দেখতে হবে।” তবে তেহট্ট ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বিশ্বাসের দাবি, “মানিকবাবু ইতিমধ্যে একাধিক দফতরের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অনুমতি নিয়ে ফেলেছেন। আশা করছি, অসুবিধা হবে না।”
বারবার ফোন করেও মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।