Radhatilak Rice

মিলল স্বীকৃতি, বঙ্গের সুগন্ধী ধানের তালিকায় রাধাতিলক

বিঘা প্রতি এই ধান চাষের খরচ প্রায় তিন হাজার টাকা। আবার এক বিঘা জমিতে এই চাষ করে প্রায় দশ মন ধান মেলে। রোপণের প্রায় দেড়শো দিনের মাথায় মেলে ফসল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মোহনপুর শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৫
রাধাতিলক ধান ও চাল। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্বিদ্যালয়ে।

রাধাতিলক ধান ও চাল। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্বিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র।

ধানের উপর লালচে বাদামি রঙের বিন্দু। নাম ‘রাধাতিলক’। এক সময় নদিয়া জেলার নবদ্বীপ ও শান্তিপুর এলাকায় বৈষ্ণবদের কাছে এই ধানের চাল অত্যন্ত প্রিয় ছিল। যে কারণেই এমন নামকরণ বলে মত কৃষি গবেষকেদের। ২০১১ সালে ওই ধান নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ১৩ বছর পর স্বীকৃতি পেল সেই ধান। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার সুগন্ধি ধান গবেষণা প্রকল্পে স্থান করে নিয়েছে ‘রাধাতিলক’।

Advertisement

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলার সুগন্ধি ধান গবেষণায় স্বীকৃতি মিলেছিল গোবিন্দ ভোগ, হরিণকুড়ি, লাল বাদশা ভোগ, রাধুনিপাঠের মতো বঙ্গের সুগন্ধি ধানের। সেই তালিকায় এ বার যুক্ত হল রাধাতিলক। ২০১১ সাল নাগাদ শান্তিপুর ব্লকের একটি ফার্মার্স ক্লাব এই সুগন্ধি ধানের বিষয় নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পর থেকে শুরু হয় গবেষণার কাজ। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের গত ১২ জুন 'প্রটেকশন অব প্লান্ট ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড ফার্মার্স রাইট অথরিটি' তরফে ‘কৃষকের জাত’ হিসেবে রাধাতিলক ধান নিবন্ধীকরণের শংসাপত্র পেয়েছে।

বিঘা প্রতি এই ধান চাষের খরচ প্রায় তিন হাজার টাকা। আবার এক বিঘা জমিতে এই চাষ করে প্রায় দশ মন ধান মেলে। রোপণের প্রায় দেড়শো দিনের মাথায় মেলে ফসল। ইতিমধ্যেই নদিয়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন কৃষক গোষ্ঠী এই ধান চাষ শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষকেরা জানান, এই চাষে জৈব কিংবা রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যে কারণে চাষের খরচও কম। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সুফল বাংলা স্টলে ইতিমধ্যেই রাধাতিলক চাল ৮০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী দিনে এই ধান চাষ কৃষি অর্থনীতিকে অনেক বেশি উন্নত করবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, ‘‘নিশ্চিতভাবে এই সাফল্য আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়াবে।’’ শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তিপুরের বেশ কয়েক জন চাষির হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

খেলা হবে দিবস

চাকদহ: রাজ্য সরকারের যুব কল্যাণ এবং ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে ‘খেলা হবে’ দিবসের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। চাকদহ ধনিচা হাইস্কুলের মাঠে এই উপলক্ষে মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। বিষ্ণুপুর মহিলা ফুটবল কোচিং সেন্টার তিন গোলে কামালপুর মহিলা কোচিং সেন্টারকে হারায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরও পড়ুন
Advertisement