unnatural death

হাঁসুয়া দিয়ে বাবার গলায় কোপ, মৃত্যু! বাঁচাতে গিয়ে জখম দাদাও, ভাইয়ের দৌরাত্মে তীব্র চাঞ্চল্য

শনিবার সকালে মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়ার ঠিক আগে শয্যাশায়ী বাবার উপর হাঁসুয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ছোট ছেলে সইদুল। বাঁচাতে এসে হাঁসুয়ার কোপ খান সইদুলের দাদাও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবার।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
লালবাগ শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭
Image of Lalbagh Hospital

লালবাগে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে ‘খুন’ বাবা। — নিজস্ব চিত্র।

বাবার গলায় হাঁসুয়ার কোপ ছোট ছেলের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবার। বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হাঁসুয়ার কোপে জখম হয়েছেন বড় ছেলেও। মুর্শিদাবাদের লালবাগ এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ থানার কুড়োলডাঙা এলাকার বাসিন্দা সইদুল মাঠে ঘাস কাটতে যাচ্ছিলেন। বাড়িতে তাঁর অসুস্থ বাবা শয্যাশায়ী। অভিযোগ, আচমকাই হাঁসুয়া দিয়ে বাবা মেকাইলের গলায় কোপ বসিয়ে দেন সইদুল। তা দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন সইদুলের বড় দাদা। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও ভাইয়ের হাতের হাঁসুয়ার কোপ খান। চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা সইদুলকে নিরস্ত করে মেকাইল এবং আব্দুলকে উদ্ধার করে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা মেকাইলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আব্দুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই সুযোগে ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালান অভিযুক্ত সইদুল। পরে অবশ্য বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, আহত ও অভিযুক্ত দুই ভাই-ই মানসিক ভারসাম্যহীন।

Advertisement

শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ সইদুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আপাতত তিনি সেখানেই পুলিশের ‘প্রোটেকটিভ কাস্টডি’তে থাকবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পরিবারের সদস্য আক্তার শেখ বলেন, ‘‘সইদুল ও তাঁর দাদা আব্দুল, দু’জনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা চলছে। হঠাৎ মাথায় খেয়াল চেপেছে আর বাবাকে কুপিয়ে মেরে দিয়েছে। ওর কি আর জ্ঞান আছে!’’

আরও পড়ুন
Advertisement