Student

‘ঠিকঠাক বিচার হয়নি’, সহপাঠীর সঙ্গে মারামারির পরে হাঁসুয়া হাতে স্কুলে হাজির কৃষ্ণনগরের ছাত্র!

কৃষ্ণনগরের দৈয়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার দুই দশম শ্রেণির ছাত্রের গন্ডগোল হয়। এক জনের মারে দ্বিতীয় ছাত্র এতটাই আঘাত পায় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় বলে এক পক্ষের দাবি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ১২:৩৮
Krishnanagar

অস্ত্র হাতে স্কুলে ঢুকছে ছাত্র! —সিসিটিভি থেকে পাওয়া ছবি।

দুই সহপাঠীর মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। তাতে নাকি এক ছাত্রের পক্ষ নেন শিক্ষক। ওই ছাত্রের পরিবার শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শিক্ষকেরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। এমনই অভিযোগ করে স্কুলের ভিতরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাজির হল আক্রান্ত ছাত্র। তার সঙ্গে ছিল বেশ কয়েক জন সহপাঠী। ওই খবর পেয়ে দ্রুত স্কুলে গিয়ে তাদের নিরস্ত্র করল পুলিশ। শুক্রবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের দৈয়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের দৈয়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার দুই ছাত্রের গন্ডগোল হয়। তারা দু’জনেই দশম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল দু’জন। এক জনের মারে দ্বিতীয় ছাত্র এতটাই আঘাত পায় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় বলে এক পক্ষের দাবি। ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু নতুন গন্ডগোল। আক্রান্ত ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘বারবার অভিযোগ জানিয়েও শিক্ষকদের কেউই নিরপেক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করেননি।’’ এর ‘প্রতিবাদে’ কিছু ক্ষণ পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে হাজির হয় ওই আক্রান্ত পড়ুয়া। হাঁসুয়া হাতে নিয়ে ছাত্রের স্কুলে ঢোকার দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের তরফ থেকে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

অন্য দিকে, আক্রান্ত ছাত্রের অভিযোগ, বার বার প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানানো হলও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রভাব খাটানো হয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্কুলে হাজির হলেন ছাত্র, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় কার্যত হতবাক হয়ে পড়েন শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শান্তনু বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগে দুই ছাত্রের গন্ডগোল স্কুল থেকে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর ওরা বাইরে গিয়ে আবার গন্ডগোল করে। সেই রেশ এসে পড়ে স্কুলে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে আমাদেরকে কেউ ভয় দেখায়নি। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’’ অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

ওই ঘটনা নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘‘যে ছাত্রের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সে বেশ কিছু দিন ধরে সাসপেন্ডেড ছিল। প্রয়োজন মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশে থাকবে পুলিশ।’’

আরও পড়ুন
Advertisement