WB Panchayat Election 2023

হুমকি-পোস্টারে আতঙ্ক গ্রামে

জেঠিয়া গ্রাম রানিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসন রয়েছে এই গ্রামে। একটি তফসিলি সংরক্ষিত, অন্যটি সাধারণ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ০৮:৩৭
হুমকি দিয়ে লেখা পোস্টার।  ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

হুমকি দিয়ে লেখা পোস্টার।  ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায় chattopadhyayarka2022@gmail.com

তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রামছাড়া করা হবে। এমনই হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের জেঠিয়া গ্রামে। বিষয়টি সামনে আসতেই এ দিন দুপুর থেকে ওই গ্রামে পুলিশ টহল দেওয়া শুরু করেছে।

জেঠিয়া গ্রাম রানিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসন রয়েছে এই গ্রামে। একটি তফসিলি সংরক্ষিত, অন্যটি সাধারণ। এই দুই আসনে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বিজেপির দু’জন করে প্রার্থী রয়েছেন। একটি আসনে একজন নির্দল, একজন আরএসপি। ৮ জনেরই বাড়ি জেঠিয়া গ্রামেই। পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন প্রার্থীও এই গ্রামে থাকেন। ২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতের দু’টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল।

Advertisement

রবিবার সকালে ঘুম ভাঙতেই গ্রামবাসীরা দেখেন, এলাকায় সাঁটানো রয়েছে প্রচুর হুমকি-পোস্টার। তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়লে বাড়িতে সাদা থান পাঠানো, বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টারের নীচে লেখা “টিএমসি জিন্দাবাদ। রানীনগর অঞ্চল টিএমসি জিন্দাবাদ।” পলাশ দাস নামে এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘আমাদের গ্রামে রাজনৈতিক গোলমাল হয় না। সব দলের প্রার্থীরা মিলেমিশে প্রচার করেন। কারা করল পুলিশ তা খতিয়ে দেখুক।’’ বৃদ্ধা ঊষারানি দাস বলছেন, “রাতে কোনও পোস্টার দেখিনি। আজ সকালে উঠে দেখছি। আমার ভোট যাকে খুশি দেব। এ ভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কারা, তা খতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতা সায়নদীপ দাস বলেন, “রানিনগরের বেশির ভাগ গ্রাম বিজেপির দখলে চলে যাচ্ছে দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ওরা এ ভাবে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু এ সবে আমরা ভয় পাচ্ছি না।’’

তবে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন, “গ্রামের একটি পরিবারও বলতে পারবে না, তৃণমূলের কেউ তাদের হুমকি দিয়েছে। পোস্টার মারার কাজ বিরোধীদের চক্রান্ত। জেঠিয়া গ্রাম আমাদের সঙ্গেই আছে।’’ জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান অবশ্য বলছেন, “গ্রামে পুলিশ গিয়েছে। পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখছে, এটা কাদের কাজ। আমার বিশ্বাস, তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়।”

আরও পড়ুন
Advertisement