Indian Railways

বাদ চৈতন্যের জন্মস্থান পরিচয়,  ক্ষোভ

রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪১
উপরে পুরনো লেখা। নীচে, নতুন লেখা। নবদ্বীপ স্টেশনে।

উপরে পুরনো লেখা। নীচে, নতুন লেখা। নবদ্বীপ স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।

সেজে উঠছে নবদ্বীপ স্টেশন। আর স্টেশন সাজাতে গিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। ঝাঁ চকচকে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের নামাঙ্কিত নতুন বোর্ডে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে ‘বার্থ প্লেস অব শ্রীচৈতন্য’ লেখাটি। এতদিন রেল স্টেশনের নামের প্রধান বোর্ডগুলিতে ইংরাজি হরফে লেখা থাকত কথাগুলি। সম্প্রতি অনেক কিছুর সঙ্গে বদলে গিয়েছে সেই হলুদ রঙা বোর্ড। নতুন বোর্ডে বাদ পড়ছে চৈতন্য জন্মস্থানের পরিচিতি।

তাতেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নবদ্বীপ জুড়ে। নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ, নিত্যযাত্রী সমিতির তরফে বিষয়টি নিয়ে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে রেলের কাছে। এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শান্তিরঞ্জন দেব বলেছেন, “নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের জন্মলগ্ন থেকেই স্টেশনের নামাঙ্কিত বোর্ডে ওই বাক্যাংশটি লেখা থাকে ল্যান্ডমার্কের মতো। নতুন বোর্ড তা বাদ পড়েছে। যা আদৌ কাঙ্ক্ষিত নয়। আর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সে বারও আমরা লিখিত ভাবে জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছিলাম। পরে তা ঠিক করা হয়। কেন যে বার বার নবদ্বীপের মতো ঐতিহাসিক স্থানের বেলায় এমনটা ঘটে তা বোধগম্য হয় না। চৈতন্যদেবের জন্মভূমি এই নবদ্বীপ, তার গুরুত্ব বুঝে বিষয়টি দ্রুত সংশোধনের আবেদন করেছি।” তার কথা সংস্কার বা নতুন রং করা মানে কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা নয়।

Advertisement

রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নবদ্বীপকে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। সেই পরিকল্পনার কাজও চলছে। গত জানুয়ারি মাসে নবদ্বীপ স্টেশন পরিদর্শনে এসে পূর্ব রেলের ডি আর এম সঞ্জয় সাহা জানিয়ে ছিলেন, নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের খোলনলচে আমূল বদলে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। সেই কাজই শুরু হয়েছে। যা দেখে ফের আগামী জানুয়ারিতে ডি আর এমের ফের নবদ্বীপ আসার কথা আছে। তার আগে গোটা স্টেশন চৈতন্যদেব এবং বৈষ্ণবীয় বিষয়ের পেইন্টিং দিয়ে সাজানোর কাজ চলছে। হবে। নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে দ্বিতীয় চলমান সিঁড়ির কাজও চলছে।

অন্যদিকে হাওড়া-কাটোয়া সাব-আর্বান প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের নবদ্বীপ শাখার সম্পাদক সৌমেন অধিকারী বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আগামী সপ্তাহে ডিআরএম আসছেন। তাঁর কাছে প্রথমেই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান হাওয়া উচিত।” নবদ্বীপ ধামের স্টেশন ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, “নতুন বোর্ডে বার্থ প্লেস অব শ্রীচৈতন্য লেখার দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement