RTPCR

Coronavirus: হাসপাতাল নয়, ভরসা করোনা কিট

এই কিট ব্যবহার করে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় চিকিৎসকরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লাফিয়ে লাফিয়ে জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই সময় জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনা পরীক্ষাও হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। তবুও করোনা উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে নারাজ একাংশ সাধারণ মানুষ। তাঁদের ভরসা আরটিপিসিআর হোম কিট।

আর সেই কিট জেলায় বিক্রিও হচ্ছে রমরমিয়ে। বহরমপুর কাদাই বাজারের ওষুধ বিক্রেতা বিমান দত্ত বলেন, “রোজই কোভিড কিট বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি কিটের দাম ২৫০ টাকা।” ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার এক ওষুধ বিক্রেতা গোপাল পাল জানান, তাঁর দোকান থেকে প্রতি দিন দশ থেকে কুড়িটি করে এই কিট বিক্রি হচ্ছে। তিনি অবশ্য দশ টাকা কমিয়ে ২৪০ টাকায় এই কিট বিক্রি করেন। গোপাল বলেন, “কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই কিটের এত বিক্রি ছিল না। কিন্তু এখন এই কিটের বিক্রি অনেকটা বেড়েছে।”
তবে এই অ্যান্টিজ়েন কিট কারা তৈরি করছে তার ক্ষেত্রে আইসিএমআরের অনুমতি আছে কি না, সে বিষয়ে অজানা ক্রেতাও। এই কিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা-ও জানা নেই ক্রেতার। এই ধরনের কিট ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই। এক বিক্রেতা বলেন “ইউটিউব দেখে এই কিটের ব্যবহার জানছেন ক্রেতা।” জেলার বিশেষজ্ঞদের দাবি, এমনিতেই করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মানুষজনের মধ্যে প্যানিক ফিরেছে। আবহাওয়ার তারতম্যে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, যা করোনার উপসর্গ ভেবে অনেকেই মুড়ি মুড়কির মতো এই কিট কিনছেন। আবার উপসর্গহীন অনেকের করোনা হতে পারে। সেক্ষেত্রেও এই কিট ব্যবহার করে সঠিক তথ্য পাওয়া না পাওয়া নিয়েও দ্বিধায় চিকিৎসকরা। তবে এই ধরনের কিটের দেদার ব্যবহার নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনও তদারকিও নেই বলে অভিযোগ একাংশ চিকিৎসকের।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা মাইক্রোবায়োলজিস্ট রঞ্জন বসু বলেন, “এই ধরনের কিটে রিপোর্ট যদি পজ়িটিভ আসে তাহলে পজ়িটিভ বলেই ধরতে হবে। কিন্তু রোগীর উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে আরটিপিআর টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।” আবার রিপোর্ট পজ়িটিভ হলে তা সরকারি ভাবে লিপিবদ্ধ থাকছে না। ফলে যে কেউ সেই রেজ়াল্ট চেপে যেতে পারেন। যার ফলে সংক্রমণের হারের সঠিক তথ্যও মিলবে না বলেই মনে করেন ওই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, “কিটের গুণমান ও বৈধতা যাচাই না করে বাজারে এলে এই রোগের নির্ণয় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। চিকিৎসকের নজরদারি না থাকার কারণে পজ়িটিভ রোগী ফলস নেগেটিভ হয়ে ঘুরে বেরানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট দফতরের একটু নজরদারি থাকা প্রয়োজন।”

জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাসিস্টান্ট ডিরেক্টর গোবিন্দ পাল বলেন “এই বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অধীন। ওঁরাই যা বলার বলতে পারবেন।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, “এই ধরনের কিটে কী আছে তা জানি না। যদি কোনও অভিযোগ পাই তাহলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

আরও পড়ুন
Advertisement