প্রতীকী ছবি।
সবাইকে এক ছাদের তলায় নিয়ে এসে সংগঠন সাজাবেন বলে কথা দিয়েছেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ ইউনিটের নয়া জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়। তার ফলে দলে আবার সক্রিয় হয়ে উঠবার আশা করছেন এতদিন দলে কোণঠাসা নেতারা। ইতিমধ্যে নানা পঞ্চায়েত স্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে ছোট ছোট বৈঠক করেছেন শাওনি। আজ রবিবার তাঁর আওতাধীন ১৩ জন বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি। তারপরেই জেলায় বর্ধিত সাংগঠনিক সভা হবে বহরমপুরে। সেই বৈঠক শেষে জেলার বিভিন্ন ব্লক স্তরে নয়া কমিটি ঘোষিত হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যায়।
সূত্রের খবর, এক সময়ে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা নেতাদের এড়িয়েই নয়া কমিটি তৈরি করা হবে। গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী বহু নেতা দলে ফিরে আসবার জন্য দলের সর্বস্তরে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে তৃণমূলের দাবি। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা রাজ্যের ঘাড়ে ছেড়ে দিয়েছেন জেলা নেতারা।
সাংগঠনিক কাজকর্মে গতি আনতে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর দুটি ইউনিটে ভাগ করে জেলায় সংগঠনকে মজবুত করবার চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল। জঙ্গিপুরে খলিলুরের বিকল্প না থাকলেও মুর্শিদাবাদ ইউনিটে সভাপতির কুর্সির দাবিদারও ছিলেন অনেকে। সেই পদে শাওনি সিংহ রায়কে দায়িত্ব দিয়ে চমকে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য নেতারা।
ইতিমধ্যে জেলা কমিটিতে কো-অর্ডিনেটর পদ উঠে গিয়েছে। ঘোষণা করা হয়নি জেলা মুখপত্রের পদও। নির্বাচনের আগে সবাইকে দলে রাখতে পদ দেওয়ায় বহরে বিরাট জেলা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তার থেকে ছেঁটে ‘কাজের লোক’দের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।
এর আগে গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকিয়ে সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে বারবার ছক বদল হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলে। তারই অঙ্গ হিসেবে চার কো-অর্ডিনেটর পদ তৈরি করা হয়েছিল। দায়িত্ব উঠেছিল খলিলুর রহমান, সৌমিক হোসেন, অশোক দাস আর অরিত মজুমদারের কাঁধে। তাঁদের মধ্যে চলতি বিধানসভা ভোটে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছেন সৌমিক। খলিলুর রহমানকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় সংগঠনের জেলা সভাপতি করে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। কিন্তু সংগঠনে কো-অর্ডিনেটর পদ উঠে যাওয়ায় আপাতত পদহীন নেতা বর্ষীয়ান অশোক দাস ও তরুণ অরিত মজুমদার। নিজেকে সুব্রত বক্সীর রাজনৈতিক শিষ্য দাবি করে অশোক এদিন বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।” অরিত বলেন, “ পদে থেকেই কাজ করতে হবে এমন কথা নেই। পদে না থাকলেও আমি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী।’’ ধৃত পাশের