Death

ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে দু’বছরের শিশুকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেল শেয়াল! সুতিতে আতঙ্ক

স্থানীয়দের দাবি, গত দেড় মাসে গ্রামে শেয়ালের উৎপাতে ছয় শিশু-সহ জখম হয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। শেয়ালের আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে কচিকাঁচারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সুতি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১৮:৫৩

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়ির বারান্দায় মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল বছর দুয়েকের শিশুকন্যা। কখন যে শেয়াল ঘরে ঢুকে এক রত্তিকে মুখে তুলে নিয়ে পালিয়েছে, তা জানতেই পারেননি মা। ঘুম ভেঙে যখন দেখলেন পাশে মেয়ে নেই, তত ক্ষণে সব শেষ। স্থানীয় লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন। আবার শেয়ালের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এ বার সুতি থানার ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ সুতির ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাগলপুর গ্রামের তসবিরা বিবি তাঁর দু’বছর বয়সি মেয়ে সুনাফা খাতুনকে নিয়ে বারান্দায় শুয়েছিলেন। দু’জনে ঘুমিয়েছিলেন। তখন একটি শেয়াল কোনও ভাবে বারান্দায় ঢুকে শিশুকন্যাকে মুখে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তসবিরা বুঝতে পারেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। একটি জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, গত দেড় মাসে গ্রামে শেয়ালের উৎপাতে ছয় শিশু-সহ জখম হয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। এমনকি, শেয়ালের আতঙ্কে দিনের বেলাতেও ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে কচিকাঁচারা। ইতিমধ্যে বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে। মালদহ বন বিভাগের একটি বিশেষ দল শেয়ালদের খোঁজে গ্রামে আসবে বলে জানা গিয়েছে।

সুতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা ওই গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুল হক বলেন, ‘‘শেয়ালের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। আহত অনেকেই হয়েছেন। কিন্তু তবে শিশুকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুবলে খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের জানানো হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপের ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement