Durga Puja 2023

কল্যাণী সীমান্তে ট্রেনে নিয়ন্ত্রণ, উঠছে প্রশ্নও

আইটিআই মোড়ে লুমিনাস ক্লাবের পুজো-সহ তিনটি বড় পুজোর টানে এ বার প্রচুর দর্শনার্থী কল্যাণী শহরমুখো হয়েছেন।

Advertisement
অমিত মণ্ডল
কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:২৭
কল্যাণী স্টেশন।

কল্যাণী স্টেশন।

প্রথমে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনের পথে ঘোষপাড়া স্টেশনে আপ ট্রেন থামানো হচ্ছিল না। উদ্দেশ্য, কল্যাণীর পুজোয় দর্শনার্থীর ভিড়ে রাশ টানা। এ বার দুর্ঘটনা এড়াতে তিন দিন বিকাল ৪টের পর আর কল্যাণী মেন স্টেশন ছাড়িয়ে সীমান্তের লাইনে ট্রেন যাচ্ছে না। কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমনই চলার কথা। কিন্তু রেলের এই দুই পদক্ষেপ নিয়েই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আইটিআই মোড়ে লুমিনাস ক্লাবের পুজো-সহ তিনটি বড় পুজোর টানে এ বার প্রচুর দর্শনার্থী কল্যাণী শহরমুখো হয়েছেন। পাশের ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল তো বটেই, কলকাতা থেকেও বহু মানুষ গিয়েছেন। গত শুক্র ও শনিবার বিকাল ৪টের পর শিয়ালদহ থেকে আসা ট্রেন ঘোষপাড়া স্টেশনে না দাঁড়ানোয় বিপত্তি বেড়েছে বই কমেনি। বহু যাত্রী সীমান্তে নেমে আবার শিয়ালদহগামী ট্রেন ধরে ঘোষপাড়া স্টেশনে নেমেছেন। আবার অনেকে কল্যাণী মেন স্টেশনে নেমে অটো-টোটো ধরে আইটিআই মোড় অথবা রথতলার পুজো দেখতে গিয়েছেন। এ বার বিকাল ৪টের পর কল্যাণী সীমান্ত লোকাল বন্ধ করাতেও তা-ই ঘটছে। তার ফলে মেন স্টেশন রোড থেকে পুরসভার সামনের রাস্তা যানজটে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন বিকাল ৪টে থেকে রাত সওয়া ১১টা পর্যন্ত আপ ও ডাউন মিলিয়ে সাত জোড়া ট্রেন কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে যাতায়াত করে। সেগুলো না চলায় যে যাত্রীরা কল্যাণী শিল্পাঞ্চল, ঘোষপাড়া অথবা সীমান্ত স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন তাঁদেরও কল্যাণী মেন স্টেশনে নেমে অটো-টোটো ধরতে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। আবার আজ, বৃহস্পতিবার কল্যাণী শহরে বিকাল ৪টে থেকে বিসর্জনের কার্নিভাল। তার জন্য দুপুর ২টো থেকে পুরসভার সামনে এবং উপ-সংশোধনাগারের সামনে রাস্তা বন্ধ থাকবে। তাতে বিপত্তি আরও বাড়বে।

কল্যাণী পুরসভা সূত্রের বক্তব্য, কল্যাণী ঘোষপাড়া এবং শিল্পাঞ্চল এলাকায় দুটো লেভেলক্রসিং পার করে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিমা প্রতিমা বিসর্জনের ঘাটে যেতে হয়। সে সময়ে ওই লাইনে ট্রেন চললে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে গত বছরও কল্যাণী সীমান্ত লোকাল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। পুরপ্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন, “ঝুঁকি থাকায় আমরাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম।”

যদিও এর আগে ঘোষপাড়ায় আপ ট্রেন দাঁড় না করানোর আবেদনের যুক্তি স্পষ্ট নয়। যাঁর চিঠির ভিত্তিতে রেল ওই দুই পদক্ষেপ করেছে, সেই রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

আরও পড়ুন
Advertisement