Fake Lottery

ভাড়াবাড়িতে জাল লটারির কারখানা! খবর পেয়েই হানা দিল মুর্শিদাবাদের পুলিশ

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০০:২৪

—নিজস্ব চিত্র।

ছোট্ট কয়েকটা জেরক্স মেশিন। গোটা কয়েক কম্পিউটার। আর ঘরের কাজে ব্যবহার করার মতো তিনটি প্রিন্টার। এই দিয়েই নাকি রাতারাতি তিন জেলা জুড়ে জাঁকিয়ে বসেছিল জাল লটারি টিকিটের রমরমা কারবার! গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে শিবমন্দির এলাকায় জাল লটারি ছাপানোর কারখানায় হানা দিল শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গুদামের মধ্যে মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে জাল লটারি ছাপানোর অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যন্ত্রপাতি। তাতেই বাজেয়াপ্ত হয় বিপুল পরিমাণ জাল টিকিট ও টিকিট তৈরির সরঞ্জাম। যদিও এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ ধুলিয়ান এলাকার একটি গুদামে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ জাল লটারি টিকিট। ওই গুদাম থেকে বেশ কয়েকটি জেরক্স মেশিন, জাল লটারি ছাপা মেশিন, কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জাল লটারি কারবারে অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তবে অবৈধ লটারি চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লটারি কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।

ওই গোডাউনের মালিক জুমু ইসলামের দাবি, ‘‘কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি আমার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। তবে কী ব্যবসা করতেন, জানি না।’’ জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement