Domkal

দেহাবশেষের খোঁজে নাজেহাল পুলিশ

শনিবার তারা নতুন করে তদন্তে নয়া-মোড় দেয় নতুন বয়ান দিয়ে। পুলিশের জেরায় তারা নতুন করে জানায়, সেপটিক ট্যাংকের মধ্যেই আছে কঙ্কাল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমকল শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৮
Murshidabad police administration searching for dead body

সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি।

এর আগেও কঙ্কাল নিয়ে অনেক গল্প শোনা গিয়েছে। কিন্তু সাত বছর আগে খুন হওয়া এক যুবকের কঙ্কালের খোঁজে নেমে মুর্শিদাবাদের পুলিশ অফিসারদের যে ভাবে ঘোল খেতে হচ্ছে তা এক নতুন গল্পের জন্ম দিয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগে আদালতের নির্দেশে পুনরায় রোসপিয়ার মল্লিক নামে ডোমকলের বালিপাড়া এলাকার এক যুবকের খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের নাওয়া খাওয়া প্রায় লাটে উঠেছে। যাবতীয় কাজ ছেড়ে এখন পুলিশ মূল অভিযুক্ত দু’জনকে জেরা করতে ব্যস্ত। আর জেরায় এক একবার দেওয়া বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে মাঠে নেমে ব্যর্থ হয়ে রীতিমত মাথার চুল ছিঁড়ছে পুলিশ। পুলিশকর্তাদের দাবি, পুলিশের কর্মজীবনে এধরনের অপরাধীর সামনে পড়তে হয়নি তাদের।

Advertisement

কখনও সেপটিক ট্যাঙ্ক, কখনও আবার সেখান থেকে তুলে কঙ্কাল রাখা হয়েছে পাশের লেবু বাগানে। আবার পরের দিন মত বদলে বলছে ভৈরব নদে ফেলে দেওয়া হয়েছে কঙ্কাল। গত কয়েক দিনে এক এক সময় এক এক রকম বয়ান দিয়েছে খুনে মূল অভিযুক্ত মহিলা এবং তার সঙ্গী সানাউল্লাহ।

এখানেই শেষ নয়, শনিবার তারা নতুন করে তদন্তে নয়া-মোড় দেয় নতুন বয়ান দিয়ে। পুলিশের জেরায় তারা নতুন করে জানায়, সেপটিক ট্যাংকের মধ্যেই আছে কঙ্কাল। ফলে রবিবার সকাল থেকেই আবার মাঠে নেমে পড়ে পুলিশ কর্তা থেকে কর্মীরা। কিন্তু দিনভর তল্লাশি চালিয়েও শেষ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি।

কিন্তু এক জন সাধারণ গ্রামের মহিলা এবং যুবক এ ভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে কেন? পুলিশের একাংশের দাবি, কোনও আইনজীবী বা কারও কাছ থেকে পরামর্শ পাচ্ছে অভিযুক্তেরা। কিন্তু পুলিশের দাবি, তারাও এই তদন্তে নাছোড়বান্দা। প্রয়োজনে আবারও আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে তাদের পুনরায় হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলবে। রোসপিয়ারের পরিবারও তাকিয়ে পুলিশি তদন্তের দিকে। তাদের দাবি, অপরাধীরা যতই বিভ্রান্তি ছড়াক না কেন, পুলিশ যেভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে তারা হয়ত সুবিচার পাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement