ডেনার হানাদারিতে ভয়ে আতঙ্কে কাঁপছে ওড়িশা ও বাংলা। ডেনার জন্ম বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়তেই কি তছনছ হয়ে যাবে সব? ওড়িশার ধামারা বন্দর, ভিতরকণিকা আতঙ্কের প্রহর গুনছে। আশঙ্কায় বাংলার উপকূলও। যদিও এটাই প্রথমবার নয়। ফণী। বুলবুল। আয়লা। ইয়াস। আমপান। হুদহুদ। আয়লার অভিজ্ঞতা বাংলার আছে। এ বার ঝড়ের অভিজ্ঞতায় জুড়ল ডেনা-ও।
সোজা করে বললে ঘূর্ণিঝড় হল বায়ুমণ্ডলীর এক উত্তাল অবস্থা। যা আসলে বাতাসের ঘূর্ণায়মান গতির কারণে জন্ম নেয়। সামুদ্রিক আবহাওয়া থেকে বিপুল শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় আত্মপ্রকাশ করে। উত্তর গোলার্ধে ঘূর্ণিঝড় সব সময় ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরে। ডান দিক থেকে বাঁ-দিকে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে ঘোরে ক্লক-ওয়াইজ। বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ থেকে ৯০টি ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হয়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘ট্রপিকাল সাইক্লোন’। বাংলায় সাধারণত দু’ধরনের ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। প্রাক বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়। সে দিক থেকে দেখলে, ডেনা একটি আদর্শ ‘পোস্ট মনসুন সাইক্লোন’।