Arrest

ব্যবসায়ীর ১৮ লক্ষ টাকা ছিনতাইকাণ্ডের মূল চক্রী চা দোকানের মালিক! তাজ্জব মুর্শিদাবাদের পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বাকি টাকা ও অন্য অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৫

—নিজস্ব চিত্র।

প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যবসায়ীর নগদ ১৮ লক্ষ টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় মূল চক্রী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বাকি টাকা ও অন্য অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চায়ের দোকানের আড়ালেই দীর্ঘ দিন ধরে এই ছিনতাই চক্র চলছিল জেলায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা পুলিশি অভিযানে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা হলেন— হান্নান শেখ, হাসিবুল শেখ ও কুয়েসউদ্দিন মণ্ডল। তাঁদের মধ্যে হান্নান একটি চায়ের দোকান চালাতেন। তাঁর দোকানটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে। কুয়েস সেই ব্যাঙ্ক শাখার কর্মী। তদন্তকারীদের দাবি, হান্নানই ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল চক্রী। কুয়েস তাঁকে তথ্য সরবরাহ করতেন। আর হাসিবুল হলেন ভাড়াটে মস্তান

কী ভাবে ছিনতাইয়ের ছক ফাঁদা হয়? তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ব্যবসায়িক কারণে যাতায়াত ছিল মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার গোয়াস গ্রামের বাসিন্দা পূজন সাহার। ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্কে আসা থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তাঁর সমস্ত গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতেন হান্নান। তিনিই কুয়েসকে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় শামিল করেন। ব্যাঙ্কে কত টাকা জমা রাখার কথা ছিল পূজনের, সেই তথ্য কুয়েসই হান্নানকে দিয়েছিলেন। ছিনতাইয়ের সময় যাতে কোনও ভুলভ্রান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কাজে লাগানো হয়েছিল হাসিবুলকে। সেই মতোই গত সোমবার পূজন ঘূর্ণি মোড়ে বাস থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন ওই ভাড়াটে মস্তান ও তাঁর এক সঙ্গী। এর পর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে চম্পট দেন তাঁরা। অভিযোগ, শূন্যে তিন রাউন্ড গুলিও চালানো হয়েছে।

সামান্য এক জন চা বিক্রেতা কী ভাবে এত নিখুঁত ভাবে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন, তা-ই এখন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসিবুলের বিরুদ্ধে পুরনো অপরাধের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানার চেষ্টা চলছে, এই ছিনতাইকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিলেন কি না। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সুবিমল পাল বলেন, ‘‘ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তের শুরুতেই সন্দেহভাজন বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সূত্র মেলে। অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছ’লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ছিনতাইয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement