ছবি: শাটারস্টক।
দুশ্চিন্তা, যত্নের অভাব, অনিয়মিত জীবনযাপন, পুষ্টি না পাওয়া— ইত্যাদি নানা কারণে চুলের বারোটা বাজছে। অথচ চুলই নাকি বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি ঠিক করে দেয়। ব্যস্ত জীবনে সাজগোজের সময় চুলের খেয়াল পরে ঠিকই। কিন্তু বাকি সময়টুকু চুল নিয়ে ভাবার সময় কোথায়!
চুল নিতে চিন্তা করা আমরা তখন শুরু করি, যখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আঁচড়াতে গিয়ে বা শ্যাম্পু করতে গিয়ে হাতে উঠে আসছে মুঠো মুঠো চুল। তখন দুশ্চিন্তায় পাগল হয়ে আপনি ভাবতে শুরু করেন এ বার কী করবেন। তখন খোঁজ শুরু হয় ঘরোয়া টোটকার। যাতে বন্ধ হয় চুল পড়া। মাথায় গজায় নতুন চুল। তেমনই তিন টোটকার সন্ধান রইল। তবে ব্যবহত উপাদান গুলি প্রথা বহির্ভূত। অন্তত চুলের টোটকা হিসাবে ব্যবহার করা কমই হয়েছে।
১। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার রোগা হওয়ার জন্য সকাল সকাল অনেকেই খান। কিন্তু চুলে লাগিয়েছেন কি কখনও! ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন। অ্যাপল সাইডারের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল নতুন চুল গজানোয় সাহায্য করে।
২-৪ টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়ে ১৬ আউন্স জলের সঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন। এ বার চুলে শ্যাম্পু করুন। কন্ডিশন করুন। এর পরে ওই জল মেশানো অ্যাপল সাইডার ভিনিগার চুলে এবং মাথার ত্বকে স্প্রে করুন। ৩-৫ মিনিট রেখে দিন। তার পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করা যায়।
২। মাছের তেল
ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ গভীর সামুদ্রিক মাছের তেল যেমন শরীরের জন্য ভাল, তেমনই চুলের জন্যও ভাল। গন্ধের জন্য অনেকেই ওই তেল ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু যদি গন্ধ এড়াতে পারেন, তবে মাছের তেল নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী।
সমান মাপের অলিভ অয়েল এবং ফিশ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। গন্ধ দূরে রাখতে ফিশ অয়েলকে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
৩। ক্যাস্টর অয়েল
মোটা ঘন ভুরুর জন্য অনেকে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর পরামর্শ শুনে থাকবেন। কিন্তু ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মাথায় চুল গজানোর জন্যও ক্যাস্টর অয়েল উপকারী। বিশেষ করে তা যদি অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগানো যায়, তবে তো কথাই নেই।
সমান মাপে ক্যাস্টর অয়েল আর অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে ভাল ভাবে মেশান। মিশ্রণটিকে মাথার ত্বকে মাসাজ করে লাগান। শাওয়ার ক্যাপ বা অন্য কিছু দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
তবে একই সঙ্গে ত্বকের চিকিৎসকেরা এ কথাও বলছেন যে, টোটকা তখনই কাজ করবে যখন আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তাই প্রচুর জল খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং শারীরিক কসরৎ বা ব্যায়াম করুন। কারণ আমাদের শরীর ভাল থাকে শরীরের সর্বত্র রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে।