প্রতীকী ছবি।
শান্তিপুরের মতোই রানাঘাট মহকুমার দু’টি পুরসভা এলাকায় ‘মেগা ক্যাম্প’ করো একশো শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর। আসন্ন উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। আজ সোমবার থেকেই রানাঘাট পুরসভা এলাকায় মেগা ক্যাম্প শুরু হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে শান্তিপুর এলাকায় মেগা ক্যাম্প করে প্রায় ৫৪ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। অনেকেরই অবশ্য দাবি, আসলে উৎসব নয়, বিধানসভা উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
রানাঘাট পুরসভা এলাকায় ভোটারার সংখ্যা ৬৯৮৪৩ জন ও তাহেরপুর নটিফায়েড এলাকায় ভোটার সংখ্যা ১৮২৮৮ জন। এই ভোটার সংখ্যা ধরেই প্রাথমিক ভাবে ১৮ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই হিসাবে রানাঘাট পুরসভায় এখনও পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ৩৭ হাজার মানুষের প্রথম ডোজ নেওয়া বাকি। তাহেরপুর নোটিফায়েড এলাকায় প্রায় ১১ হাজার মানুষের টিকা নেওয়া বাকি। বীরনগর পুরসভায় সাড়ে তিন হাজার ও কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এলাকায় দেড় হাজার মানুষের টিকা নেওয়া বাকি রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই এ বার শুধু রানাঘাট ও তাহেরপুরে মেগা ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রানাঘাট মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “বীরনগর ও কুপার্সে মেগা ক্যাম্প করার প্রয়োজন নেই। কারণ, সেখানে যে ক’জনের টিকা নেওয়া বাকি তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু রানাঘাট ও তাহেরপুরের ক্ষেত্রে উৎসবের আগে সেটা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না। তাই আমরা এই দুটি পুরসভা এলাকায় মেগা ক্যাম্পের আয়োজন করছি। যাতে দুর্গা পুজোর আগে যতটা সম্ভব এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়।”
রানাঘাট পুরসভা এলাকায় সাতটি জায়গা বাছা হয়েছে এই ক্যাম্পের জন্য। প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরেয়ে পাঁচটি জায়গায় ক্যাম্প করা হবে। প্রতিদিন প্রতিটি ক্যাম্প থেকে এক হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সোমবার রানাঘাটে নাসরা হাইস্কুল, ইউপিএইচসি ১, ইউপিএইচসি ২, রাধারানি মাতৃসদন ও তোটিনিতে ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, ভিড় এড়াতে পুরসভার মাধ্যমে কুপন বিলি করা হচ্ছে। কোন দিন কোন ক্যাম্পে ক’টার সময় যেতে হবে তা কুপনে লেখা থাকছে। সেই সঙ্গে মাইকে প্রচারও হচ্ছে।