— প্রতীকী চিত্র।
রাতের অন্ধকারে নদী দিয়ে মহিষ পাচার করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল থানার কুপিলা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতের নাম ওয়াজেদ আলি হালসানা। ডোমকলের কুপিলা দাসপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি গবাদি পশু ৫০০ টাকার বিনিময়ে নদী পার করিয়ে দিতেন ওয়াজেদ। এ রাজ্যের পাচারকারীদের হয়ে কাজ করতেন তিনি। সোমবার গভীর রাতে দুই ব্যক্তি তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি মহিষ পার করিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মহিষকে নদী পার করাতে গিয়ে নিজে আর উঠে আসতে পারেননি। চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। লোক জানাজানির ভয়ে নদীর পারে থাকা দুই পাচারকারী তখন দৌড়ে পালান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় যুবকের পরিবারের লোকজন। যদিও প্রাণে বাঁচানো যায়নি ওয়াজেদকে। পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর,দীর্ঘদিন ধরে মহিষের ব্যবসা করেন ওই এলাকার দুই বাসিন্দা। সম্পর্কে তাঁরা দাদা এবং ভাই। আর টাকার বিনিময়ে মহিষগুলিকে কুপিলা ঘাট পার করিয়ে দেওয়ার কাজ করতেন ওয়াজেদ। সোমবার রাতেও দুই ভাইয়ের ডাকে অবৈধ ভাবে সেই মহিষ পার করাতে গিয়েছিলেন ওয়াজেদ। পুলিশ জানিয়েছে,যুবকের দেহ উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডোমকল থানায়। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের একাংশের অবশ্য দাবি, পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিবাদের কারণে খুন করা হয়েছে ওয়াজেদকে। মৃতের দাদা মোকশাদ আলি বলেন, ‘‘ভাইকে সোমবার গভীর রাতে লাল্টু এবং কাল্টু ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ওরা এলাকায় প্রভাবশালী। মহিষ পাচার করে। ওদের কথায় মহিষ পাচার করাতে গিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের সন্দেহ, ভাইকে খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।