ফাইল চিত্র।
দু’টি আসনেই অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। তৃণমূলের জয় নিয়েও কোনও সংশয় নেই বিরোধী শিবিরেও। তবু প্রচারে বিন্দু মাত্র ঘাটতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল। তাই নিজের কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচার ছেড়ে জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জ দুই কেন্দ্রেই প্রচারে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে জঙ্গিপুরে নির্বাচনী সভা করবেন রঘুনাথগঞ্জের এমডিআই য়ের মাঠে। বহরমপুরে রাত কাটিয়ে পরদিন সভা করবেন শমসেরগঞ্জে।
জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর দুই কেন্দ্রে নির্বাচনী সফরে আসার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে রদবদল হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে।
কলকাতা থেকে ফিরে তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে দলনেত্রীর এই নির্বাচনী সভার কথা জানিয়ে বলেন, “কোনও সভাতেই এক হাজারের বেশি জমায়েত করা যাবে না। তাই কর্মীরা যাতে নিজের এলাকাতেই বসে দলনেত্রীর ভাষণ শুনতে পারেন তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচনী বিধি মেনে সভায় ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে কর্মীদের। তবে কর্মীরা খুবই উৎসাহিত দলনেত্রীর আসার খবর শুনে। নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি আসছেন কারণ মুর্শিদাবাদকে তিনি বিশেষ নজরে দেখেন।”
বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একাধিক সাংসদ ও বিধায়ক ঘাঁটি গাড়ছেন দুই কেন্দ্রে। বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাসের মতে, “তা নিয়েই সংশয় বেড়েছে তৃণমূলে। আর তাই নিজের নির্বাচন কেন্দ্র ছেড়ে ছুটে আসতে হচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলে এই দুই নির্বাচনের লড়াই বাড়তি মাত্রা পেল।”