দেবাঞ্জন কাণ্ডে তোপ অধীরের। — ফাইল চিত্র
ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের ‘মানসিক রোগ’ চাবকে সারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে দাবি করলেন লোকসভার বিরোধী নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। দেবাঞ্জন-কাণ্ড নিয়ে বুধবার মুখ খুলেছেন অধীর। ওই ঘটনায় এক বর্তমান বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
জাল টিকা কাণ্ড নিয়ে বুধবারই রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র। সেই কাণ্ডের ‘নায়ক’ সম্পর্কে অধীরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দেবাঞ্জন এমন বাতাবরণ তৈরি করেছে যেন ও মানসিক রোগী। ওকে আমাদের কাছে নিয়ে আসুন। চাবকে ওর মানসিক রোগ ছাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। মানসিক রোগী বলে এখন তত্ত্ব তৈরি করা হচ্ছে। ও যা করেছে সেটা অপরাধ। সরাসরি বলছি সে হত্যাকারী। এক জন হত্যাকারীর সঙ্গে যে ব্যবহার করা উচিত দেবাঞ্জনের সঙ্গেও তেমন ব্যবহার করা উচিত। এখন ও মানসিক রোগী সাজছে!’’
অধীরের ধারাবাহিক প্রশ্ন, ‘‘কলকাতা পুরসভার মধ্যে এই ধরনের হত্যাকারীরা কী ভাবে প্রবেশ করে? কী করে সুযোগ সুবিধা নেয়? কী করে পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়? কী করে মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়?’’ জাল টিকা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই, সিআইডি বা এসআইটি নয়, বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন অধীর। একইসঙ্গে তার্র হুঁশিয়ারি, ‘‘এটা মানুষকে হত্যা করার পরিকল্পনা। যখনই সরকার বিপদে পড়ে তখনই ইস্যু পাল্টে চায়। কিন্তু ভ্যাকসিন দুর্নীতিকে যেন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা না হয়।’’
বুধবার জাল টিকা কাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও। ওই ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর দাবি,প্রতারকদের বিরুদ্ধে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ পদক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন ‘‘বিজেপি এখানে চক্রান্ত করছে। বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে লোক সাজিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গুজরাতেও পার্টি অফিস থেকে টিকা বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। কই তখন তো কোনও মামলা হয়নি?’’