ফরাক্কা থানায় উদ্ধার হওয়া নাবালক। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় একটি বাচ্চা ছেলেকে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসেছিল। ছেলেটির নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তার সঙ্গের লোকজন বাচ্চাটিকে ফেলেই সেখান থেকে চম্পট দেয়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন স্থানীয়েরা। এর পরই জানা যায় আসল ঘটনা।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থেকেই ওই বাচ্চাটিকে অপহরণ করেছিল এক দল দুষ্কৃতী। এর পর মালদহ হয়ে তাকে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় নিয়ে আসে তারা। মঙ্গলবার সকালে ফরাক্কার ঘোলাকান্দি এলাকা থেকে অপহৃত ১১ বছরের ওই নাবালককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালকের নাম সুমন সরকার। ১১ জুন সুমনকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। এর পর মালদহের কালিয়াচক নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সকালে ঘোলাকান্দি এলাকায় সুমনকে নিয়ে দুষ্কৃতীরা। সুমনের কান্নাকাটি শুনে স্থানীয়দের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করতে পেরেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
গঙ্গারামপুরে সুমনকে অপহরণের পর থেকে দুষ্কৃতীদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে ফরাক্কায় নিয়ে আসার কথা জানা গিয়েছিল। দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে জালও বিছিয়েছিল পুলিশ। এর পর ঘোলাকান্দি এলাকা থেকে সুমনের খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ফরাক্কা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বাচ্চাটির কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তার বাড়ি গঙ্গারামপুর। এর পর গঙ্গারামপুর থানায় সুমনের সম্পর্কে জানান ফরাক্কা থানার আধিকারিকেরা। খবর পেয়ে সুমনকে নিয়ে যায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। গঙ্গারামপুর থানার এক পুলিশকর্মী মিজানুল রহমান সরকার বলেন, “সুমনকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে খোঁজ চলছে অপহরণকারীদের।