প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক আগেই থিতু হয়েছে। গত মাস দু’য়েক থেকে করোনার গ্রাফ একেবার নিম্নমুখী হয়েছিল। কোনও দিন এক দু’জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কোনও দিন বা এক জনও আক্রান্ত হননি। সপ্তাহ খানেক থেকে ফের করোনা সংক্রমণ একজন, দু’জন করে বাড়ছে। পুজোয় সময়ে জেলায় দৈনিক কয়েক জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরে যেমন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আবার এক বার করোনার হওয়ার পাশাপাশি করোনার টিকার দুটি ডোজ় নেওয়ার পরে দ্বিতীয় বারে করোনা আক্রান্তের নজির রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে বাজারগুলিতে যথেষ্ট ভিড় ছিল। তার পরে পুজোতে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যানাল বলেন, ‘‘আমরা সব রকম ভাবে সতর্ক রয়েছি। এদিন এবিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জনগণকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে করোনার পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া করোনার টিকার প্রথম ডোজ় সকলকে দ্রুত দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে।’’
বছর খানেক আগেই একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কুমার বেরা। তার পরে করোনার টিকা বাজারে আসতেই কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় নিয়েছেন। তার পরেও তিনি শুক্রবার দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। র্পিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে আরটিপিসিআর করা হলে দেখা যায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বিধি মেনে তিনি আপাতত হোম আইসলেশনে চিকিৎসাধীন। অমিয়বাবু বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক দুটি করে ক্রমে বাড়ছে। তাই সকলকে সাবধান থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ভিড় অতি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।’’
এ দিন জেলায় ৪৪ জন করোনা অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, ৩৩ হাজার, ৫২৪ জন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২৭ জনের।