সপ্তাহ খানেক আগেও খোলাবাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছিল কেজি প্রতি ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এখন বাজার ভেদে সেই দর পৌঁছেছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। কিছু ব্যবসায়ী আবার রবিবার থেকে বাজারে ২৫০ টাকার আশপাশে মুরগির মাংস বিক্রি করেছেন। ব্রয়লার মুরগির মাংসের এমন আগুন দামে মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তদের। ক্রেতাদের প্রায় সকলের মুখেই একটাই প্রশ্ন কেন বাড়ছে মুরগির দাম। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে এর সদুত্তর নেই।
মুরগির চাষিদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে মুরগির খাবারের দাম অন্তত ছয় বার বেড়েছে। করোনার সময় মাসের পর মাস ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছেন মুরগি চাষিরা। সেই ক্ষতি যখন চরমে, তখন আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে ফের ধসে পড়ে মুরগি চাষে। অথচ এই ক্ষতি সামাল দেওয়ার জন্য কোনও সুরাহা পাননি ব্রয়লার চাষিরা। চাষিদের ক্ষোভ, কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে যখন মুরগি চাষিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ঠিক তখনই দফায় দফায় কেজি প্রতি দাম বেড়েই চলছে মুরগির খাবারের। তাঁদের কথায় মাস তিনেকের মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে মুরগির খাবারের। আর তারই ফল খোলা বাজেরে এসে পড়েছে।
চাষিদের একাংশ জানান, বরাবরই বর্ষা এলে মুরগির দাম একটু বাড়ে। তবে এতটা নয়। তাঁদের যুক্তি, গ্রাম্য এলাকায় অনেকেই নিচু জায়গায় এই মুরগির চাষ করে থাকেন। তাঁরা সকলেই জল জমে যাওয়ার কারণে চাষ বন্ধ করে দেন। আবার ঝড়ে ফার্মের ক্ষতির ভয়ে এই সময়ে মুরগি চাষ এড়িয়ে চলে যান। ফলেই বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকায় দাম বেড়ে যায়। তবে দাম বেড়ে যাওয়য়া বিক্রি অনেকটাই কমেছে বলে দাবি খুচরো ব্যবসায়ীদের। বেথুয়াডহরির জেলা পরিষদ মার্কেটের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী বিজয় মজুমদার বলেন, ‘‘সোমবার সারাদিন ২৩০ টাকা দরে কাটা মুরগি বিক্রি করেছি। যে পরিমাণে পাইকারি দাম বেড়েছে তাতে লাভ রাখতে হলে এইটুকু দাম রাখতেই হবে। তবে ক্রেতাদের রোষের মুখে পরতে হচ্ছে আমাদের।’
কালীগঞ্জ এলাকায় এক মুরগি চাষি নাড়ুগোপাল প্রামাণিক বলেন, ‘‘ক্রেতা নেই বললেই চলে। আর মুরগির খাবারের যা দাম বেড়েছে তাতে এখনও দাম বাড়ার
সম্ভাবনা আছে।’’ নিজস্ব চিত্র