Income Tax Raid

২৮ ঘণ্টা পর শেষ তল্লাশি

বুধবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিড়ি কারখানায় ঢুকেছিলেন আয়কর আধিকারিকেরা। সাড়ে ৭টায় তল্লাশি শুরু হয়।

Advertisement
বিমান হাজরা
অরঙ্গাবাদ শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩২
তল্লাশি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে কারখানা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আয়কর আধিকারিকেরা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

তল্লাশি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে কারখানা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আয়কর আধিকারিকেরা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

২৮ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে পতাকা বিড়ির দফতর ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকেরা।

কারখানার কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে আধিকারিকেরা বাদ রাখেননি কিছুই। কারখানার ম্যানেজার, কর্মীদের শোওয়ার ঘর, বিছানাপত্র উল্টেপাল্টে দেখা, সব ঘর তন্নতন্ন করে তল্লাশি হয়েছে। কারখানার প্রধান ম্যানেজার খুরশেদ আলি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছিল, ওঁরা মূলত নগদ টাকার খোঁজেই এসেছিলেন। তবে অর্থ বা মূল্যবান কিছুই পাননি। গতকাল (বুধবার) সকালে কারখানায় ঢুকে ওঁরা আমাদের মোবাইলগুলি নিয়ে নেন। তল্লাশি শেষে সেগুলি ফেরত দেন। আমাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিছু খাতাপত্র ও নথি তাঁরা আটক করে নিয়ে গিয়েছেন। ডেকে পাঠালে দফতরে হাজির হওয়ারও নির্দেশ লিখিত আকারে দিয়ে গিয়েছেন। তল্লাশিতে আমাদের হয়রানিই হল।”

Advertisement

বুধবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিড়ি কারখানায় ঢুকেছিলেন আয়কর আধিকারিকেরা। সাড়ে ৭টায় তল্লাশি শুরু হয়। অরঙ্গাবাদের সঙ্গেই পতাকা বিড়ির শমসেরগঞ্জ, মালদহ, সুলতানগঞ্জ, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়-সহ আটটি বিড়ি কারখানায় আয়কর হানা শুরু হয়। অরঙ্গাবাদের মূল কারখানায় বিশালসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারখানার বাইরে রাখা ছিল আয়কর দফতরের ছ’টি গাড়ি। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ সবক’টি গাড়ি কারখানার ভিতরে ঢোকে। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ সেই সব গাড়ি চেপেই আধিকারিক ও জওয়ানেরা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যান। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কিছু বলেননি। তবে কারখানার ম্যানেজার খুরশেদ আলি জানান, বুধবার সকাল থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একটানা বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা চলে। মাঝে কয়েক ঘণ্টা বিরতির পর বৃহস্পতিবার ভোরে এক আধিকারিক কারখানায় এসে কম্পিউটারগুলি খুলে ফের শুরু করেন নথিপত্র পরীক্ষা। ওই কারখানায় প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি বিড়ি ঢোকে মুন্সিদের মাধ্যমে। বুধবার বিড়ি নিয়ে যাওয়া মুন্সি বা হাজারখানেক কর্মী, কাউকেই কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কারখানার নৈশপ্রহরীদেরও বুধবার বেরোতে দেওয়া হয়নি। বিড়ি মালিক সংগঠনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন বলেন, “কারও বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু এ ভাবে পর পর আয়কর হানায় আশঙ্কা বাড়ছে বিড়ি শিল্পাঞ্চলে।” জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান নিজেও একজন বিড়ি মালিক। তিনি বলেন, “এক মাসের মধ্যে পরপর এই আয়কর হানা কেন, তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। সকলেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মোটা অঙ্কের আয়কর দেন তাঁরা। কেন ২৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করতে হল, আয়কর দফতর তা জানাক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement